মানুষের ভেতর এক পশুও বাস করে।
মানুষ যখন স্কুলে যায় সেই পশু ঘুমায়।
মানুষ যখন লোকালয়ে
সমাজের সভ্যতা চচ্চড়ি ভাঁজা করে
তখন সেই পশু ঘুমায়।
মানুষ যখন দ্যাখে শক্তিশালী মহিলা
বা মহিলার বাপের অগাধ টাকা সেই পশু ঘুমায়।
মানুষ যখন দ্যাখে কোথাও কেউ নাই -
সেই পশু হাই তোলে।
মানুষ যখন দ্যাখে এই বিশাল দুনিয়াতে
এই মেয়ে সম্পুর্ন একা সেই পশু নখ বিস্তার করে।
মানুষ যখন বুঝতে পারে
এই মেয়ে কাদা মাটি ভীত সন্ত্রস্থ
ভালবাসার কাঙ্গাল
বুক ভরা আবেগ চোখ ভরা জল;
এই পশু তখন সেই মেয়ের ঘাড়ে নখ বিধিয়ে দেয়।
এই মেয়েকে রক্তাক্ত করে
এই মেয়ের চোখের জল শুষে নেয়
এই মেয়ের হৃদয় মরুভুমি হলে
এই পশু ধীরে ধীরে হাটে, ঢেকুর তোলে, এদিক সেদিক দ্যাখে
পেটের নীচে হাত বুলিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
আবার কোন নির্জন দ্বীপে জেগে উঠবে বলে
যেখানে পাশবিকতার মান মর্যাদা আছে
সুধুমাত্র নরম জাগাতেই এই পশু বীর্যপাত ঘটায়
Red Bangladesh
- Home
- The Poetry Moment
- Fraud!! Recognize it! Report it! Stop it!
- Crime Cycle
- Marriage Fraud Anwar Pervez
- Bangladesh - A Paradise for the Rapists
- Kingdom of Saudi Arabia - A Torture Chamber for the Global Maids
- The Life Cycle
- Women - Bold and Beautiful
- Silence is Consent
- Power Hungry Promotions
- Express Entry - Federal Skilled Program
- Bangladesh Fraud - Destiny 2000 Ltd
- Fraud Cycle
- Democracy - a death trap for the people
- New Year!! New Resolution!!!
Saturday, June 29, 2013
ফাঁকা
মিথ্যা বলে
সত্যের মতো
ভালবাসা নিয়ে
প্রেম নিয়ে
সুধু দেহ পায়
মন হারিয়ে যায়
মিথ্যার আবরন খুলে যায়
মিথ্যার শেকরের পোকাভরা
বিল বিল করে বেরুতে থাকে
নানা রঙের পোকা
নানা আকারের পোকা
নানা ধরনের ইচ্ছা অনিচ্ছা নিয়ে
এই পোকারা দাবী করে
বিবেক
দেহ থেকে ছিলে বিবেক বের করে নিয়ে
যায় টুকরো টুকরো দাঁতে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নোংরা নখে
বিবেকের টুকরোগুলো ঝুলে
অসহায়
সেই স্বাস্থ্যবান পোকাদের আহল্লাদী
হেলেদুলে চলা
বিবেকের
টুকরোঁ পেটে চিক চিক করে চামড়া
মিথ্যারা সব বেরুতে থাকে
কিল বিল করা পোকা
সত্য বলেনা ওরা
প্রেমের কবিতা - মিথ্যা
ভালবাসার কথা - মিথ্যা
দেহ পায় সুধু
হৃদয়ের পচাগলা পানি পানি
সতেরো, সাতাশ, সাইত্রিশ, সাতচল্লিশ, সাতষট্টি
সব গুলো দেহ সত্যের অপুষ্টিতে ভোগে
মিথ্যার বেসাতী
সব গুলো হৃদয় পচাগলা
পানি পানি
সত্যের মতো
ভালবাসা নিয়ে
প্রেম নিয়ে
সুধু দেহ পায়
মন হারিয়ে যায়
মিথ্যার আবরন খুলে যায়
মিথ্যার শেকরের পোকাভরা
বিল বিল করে বেরুতে থাকে
নানা রঙের পোকা
নানা আকারের পোকা
নানা ধরনের ইচ্ছা অনিচ্ছা নিয়ে
এই পোকারা দাবী করে
বিবেক
দেহ থেকে ছিলে বিবেক বের করে নিয়ে
যায় টুকরো টুকরো দাঁতে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নোংরা নখে
বিবেকের টুকরোগুলো ঝুলে
অসহায়
সেই স্বাস্থ্যবান পোকাদের আহল্লাদী
হেলেদুলে চলা
বিবেকের
টুকরোঁ পেটে চিক চিক করে চামড়া
মিথ্যারা সব বেরুতে থাকে
কিল বিল করা পোকা
সত্য বলেনা ওরা
প্রেমের কবিতা - মিথ্যা
ভালবাসার কথা - মিথ্যা
দেহ পায় সুধু
হৃদয়ের পচাগলা পানি পানি
সতেরো, সাতাশ, সাইত্রিশ, সাতচল্লিশ, সাতষট্টি
সব গুলো দেহ সত্যের অপুষ্টিতে ভোগে
মিথ্যার বেসাতী
সব গুলো হৃদয় পচাগলা
পানি পানি
কুড়ে খায়
জীবন ধ্বংস হয়ে যায়
ধূলো হয়ে যায়
বেদনা বুকের ভেতর
কুঁড়ে খায় সুখের শেষ টুকরো
সেই ধ্বংস দিব্যি হাসে
ভালবাসে ধোঁকা দেয়
অভিনয় করে অবিকল দেবদাস
কি নিখুঁত যারা বোঝে তাঁরা টোকে
যারা বোঝেনা তাঁরা ঝোকে
যারা ধোকা খায়
তাঁরা ভেসে যায় বানের জলে
কুঁড়ে খায় সুখের শেষ টুকরো
ধূলো হয়ে যায়
বেদনা বুকের ভেতর
কুঁড়ে খায় সুখের শেষ টুকরো
সেই ধ্বংস দিব্যি হাসে
ভালবাসে ধোঁকা দেয়
অভিনয় করে অবিকল দেবদাস
কি নিখুঁত যারা বোঝে তাঁরা টোকে
যারা বোঝেনা তাঁরা ঝোকে
যারা ধোকা খায়
তাঁরা ভেসে যায় বানের জলে
কুঁড়ে খায় সুখের শেষ টুকরো
মাঝ রাতের দর্শন
ধর্ম কি?
ধর্ম হলো বিশ্বাস ।
বিশ্বাস কি?
বিশ্বাস হলো স্বার্থ।
স্বার্থ কি?
নিজের জন্য কিছু পাওয়া।
ধর্মে বিশ্বাস করি নিজ স্বার্থে।
ধনী ধর্মে বিশ্বাস করে কেন?
যাতে দরিদ্ররা তাদের অনুসরন করে।
ইহকালে বা পরকালে
কোন না কোনকালে সম্পদ কুক্ষিগত হবে।
পরকাল অজানা
ইশ্বর অজানা
এই অজানাকে অবিশ্বাস করা পাপ,
মহাপাপ।
ভয় কি?
অজানা ক্ষতির আশংকা।
ভয় কি কি কাজে লাগে?
বেঁচে থাকার জন্য দৌড়ানোর প্রয়োজন,
ভয় ফেউয়ের মত পেছনে লেগে থাকে
যাতে মানুষ দৌড়াতে পারে,
জীবিকা নির্বাহের পদ্ধুতিগুলোকে ধরার আশায় ।
একজন সর্বহারার কি কি হারাবার ভয় থাকে?
ইহকালে কিছু পাইনি
পরকালের পাইবার পথগুলো যাতে রুদ্ধ না হয়
সেই অজানা ক্ষতির
সেই “নেই”কে না পাবার ভয়।
আকাশ কি ধরা যায়?
যায়না।
আকাশে কে কে থাকেন?
যা কিছু ভাল, যা কিছু অধরা, যা কিছু অজানা, যেমন, ইশ্বর।
এ্যাত জাগা থাকতে ইশ্বর আকাশে কেন থাকেন?
ধরা ছোয়ার বাইরে তাই।
ইশ্বর অজানা তাই আকাশে থাকেন।
স্বপ্ন অধরা তাই আকাশে থাকে।
সম্পদশালীরা শক্তিশালী তাই উঁচুতে তাদের বসবাস
আকাশকে স্পর্শ করতে ভয় – উচ্চতার জন্য
সম্পদশালীদের সবাই ভয় পায় উঁচুতে থাকে তাই
ধরাছোয়ার বাইরে। তাই আকাশে ইশ্বর আর পাতালে সম্পদশালীরা
এরা সবাই দুরে থাকে
তাই ধর্মে বিশ্বাস করি ইহকালে বা পরকালে –
কোন না কোন কালে স্বার্থসিদ্ধি হবে।।
পানির নীচে
পানির নীচে বসবাস
ডুবুরীর মত নয়
কারন ডুবুরীরা পানির নীচে বসবাস করেনা
তলদেশে যায় সুধু মাঝে মাঝে
কুড়াতে মুক্ত মনি মূল্যবান পাথর
পানির নীচে বসবাস
জলজ উদ্ভিদের মতোন
জলজ উদ্ভিদ ঘরে
বসবাস করে তলদেশে
তাই অভ্যাস হয়ে গেছে
পানির নীচে বসবাস
যে বার বার ডুবে যায়
নাকেমুখে পানি ঢুকে যায়
বিনা অনুমতিতে
চুবানি খেতে খেতে
এক সময় অভ্যাস হয়ে যায়
পানি খুঁজে নেয় নাকে মুখে
যাবার সোজা পথঘাট
ডুবুরীর মত নয়
কারন ডুবুরীরা পানির নীচে বসবাস করেনা
তলদেশে যায় সুধু মাঝে মাঝে
কুড়াতে মুক্ত মনি মূল্যবান পাথর
পানির নীচে বসবাস
জলজ উদ্ভিদের মতোন
জলজ উদ্ভিদ ঘরে
বসবাস করে তলদেশে
তাই অভ্যাস হয়ে গেছে
পানির নীচে বসবাস
যে বার বার ডুবে যায়
নাকেমুখে পানি ঢুকে যায়
বিনা অনুমতিতে
চুবানি খেতে খেতে
এক সময় অভ্যাস হয়ে যায়
পানি খুঁজে নেয় নাকে মুখে
যাবার সোজা পথঘাট
অসম্পুর্ন
কবিতা অসম্পুর্ন
জীবনের মত
স্বপ্ন দেখা শেষ না হতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
ভাল স্বপ্ন হলে খুঁজে ফিরি
দুঃস্বপ্ন হলে ভুলে যেতে চেষ্টা করি
তবুও অসম্পুর্ন থাকে
স্বপ্ন, কথা, প্রত্যাশা, বাদবাকী পরিকল্পনা
কোন কিছু শেষ হলেও অতৃপ্তি থেকে যায়
কোথায় যেন কি যেন থাকা উচিৎ ছিল
সেটা কি ছিল? কেন যেন মনে করতে পারিনা
তবে এইসব কিছু
এই ভাবনা অসম্পুর্ন
অমুক পাওয়া উচিৎ ছিল
তমুক পেতে পেতেও কে যেন নিয়ে গেল ছিনিয়ে
সব দোষ সেই ছিনতাইকারীর
আমার জীবনের অসম্পুর্নতার জন্য
আমার কোন দায় দায়িত্ব নাই
আমার কবিতার অসম্পুর্নতার জন্য
আমি দায়ি না
ভাবনাতে হাল ছেড়ে দিয়েছি
জীবনে হাল ছেড়ে দিয়েছি
নৌকা বয়ে গেছে একাকী
উত্তাল সমুদ্রে ঝড় এলে
দিকবিদিক হারিয়েছে
যেখানে যা কিছু থাকার
সেখানে সেই সব কিছু নেই
যেখানে যা কিছু থাকার নয়
সেখানে সেইসব অযাচিতরা ভীর করে
অনাহূত অপ্রত্যাশিত আগন্তুক
পথের ধারের জানালাগুলোতে
শিমুল তুলো থেকে বোনা কাপড়ের পর্দায়
সুঘ্রাণ মোটেই অপরিচিত নয়
সুধু আমি অপরিচিত
আমার কবিতা আর জীবন অসম্পুর্ন
জীবনের মত
স্বপ্ন দেখা শেষ না হতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
ভাল স্বপ্ন হলে খুঁজে ফিরি
দুঃস্বপ্ন হলে ভুলে যেতে চেষ্টা করি
তবুও অসম্পুর্ন থাকে
স্বপ্ন, কথা, প্রত্যাশা, বাদবাকী পরিকল্পনা
কোন কিছু শেষ হলেও অতৃপ্তি থেকে যায়
কোথায় যেন কি যেন থাকা উচিৎ ছিল
সেটা কি ছিল? কেন যেন মনে করতে পারিনা
তবে এইসব কিছু
এই ভাবনা অসম্পুর্ন
অমুক পাওয়া উচিৎ ছিল
তমুক পেতে পেতেও কে যেন নিয়ে গেল ছিনিয়ে
সব দোষ সেই ছিনতাইকারীর
আমার জীবনের অসম্পুর্নতার জন্য
আমার কোন দায় দায়িত্ব নাই
আমার কবিতার অসম্পুর্নতার জন্য
আমি দায়ি না
ভাবনাতে হাল ছেড়ে দিয়েছি
জীবনে হাল ছেড়ে দিয়েছি
নৌকা বয়ে গেছে একাকী
উত্তাল সমুদ্রে ঝড় এলে
দিকবিদিক হারিয়েছে
যেখানে যা কিছু থাকার
সেখানে সেই সব কিছু নেই
যেখানে যা কিছু থাকার নয়
সেখানে সেইসব অযাচিতরা ভীর করে
অনাহূত অপ্রত্যাশিত আগন্তুক
পথের ধারের জানালাগুলোতে
শিমুল তুলো থেকে বোনা কাপড়ের পর্দায়
সুঘ্রাণ মোটেই অপরিচিত নয়
সুধু আমি অপরিচিত
আমার কবিতা আর জীবন অসম্পুর্ন
নিঃশব্দে
চলে গেলে
নিঃশব্দে
হেসে হেসে বললে
নিঃশব্দে
শব্দ না করেও বুঝে নিতে হবে
সব দুঃখ
নিঃশব্দে
শুধু মুখ দেখে
শুধু চোখে চোখ রেখে
জানালায় বাতাসের আসা যাওয়া
বুঝে নিতে হবে
পাতার কাঁপন দেখে
তবু উৎকণ্ঠা
তবু ভয়
নিঃশব্দে
চলে গেলে
হেসে হেসে
নিঃশব্দে
নিঃশব্দে
হেসে হেসে বললে
নিঃশব্দে
শব্দ না করেও বুঝে নিতে হবে
সব দুঃখ
নিঃশব্দে
শুধু মুখ দেখে
শুধু চোখে চোখ রেখে
জানালায় বাতাসের আসা যাওয়া
বুঝে নিতে হবে
পাতার কাঁপন দেখে
তবু উৎকণ্ঠা
তবু ভয়
নিঃশব্দে
চলে গেলে
হেসে হেসে
নিঃশব্দে
থেমে থাকা
চলে যাওয়া মানে থেমে থাকা
গল্পে, হাসিতে, স্মৃতির আবেশে
এক বিষন্ন সন্ধ্যায় কার্নিশের কাক
নেই কোন হাক ডাক
উড়ে যায় হঠাৎ
ডানার শব্দে চকিতে চেয়ে
দেখি সে ছিল বসে
এ্যাতক্ষন জানিনি
এখন আর নেই
চলে যায় কালো ডানা নিয়ে
চলে যাওয়া মানে
থেমে থাকা অলস দুপুরে
ক্লান্ত পদযুগল থেমে গেলে
টুকরোঁ হাসি বিঁধে থাকে
মাথার পেছনে টেনে বাঁধা চুলের ক্লিপে
থেমে থাকে পথের মধ্যিখানে
রোদ্দুরে
চলে যাওয়া মানে থেমে থাকা
আনমনা হওয়া না হওয়া সময়ে
গল্পে, হাসিতে, স্মৃতির আবেশে
এক বিষন্ন সন্ধ্যায় কার্নিশের কাক
নেই কোন হাক ডাক
উড়ে যায় হঠাৎ
ডানার শব্দে চকিতে চেয়ে
দেখি সে ছিল বসে
এ্যাতক্ষন জানিনি
এখন আর নেই
চলে যায় কালো ডানা নিয়ে
চলে যাওয়া মানে
থেমে থাকা অলস দুপুরে
ক্লান্ত পদযুগল থেমে গেলে
টুকরোঁ হাসি বিঁধে থাকে
মাথার পেছনে টেনে বাঁধা চুলের ক্লিপে
থেমে থাকে পথের মধ্যিখানে
রোদ্দুরে
চলে যাওয়া মানে থেমে থাকা
আনমনা হওয়া না হওয়া সময়ে
শক্ত
ইট কাদা মাটি থেকে হয়
রুটিও আটা থেকে হয়
কাদামাটি বা আটা
শুরুতে ছেনে নিতে হয়
ফাইনাল ফর্মে যাবার পর
ইট কেউ ছানতে যায়না
রুটি ছিনিয়ে নিতে চায়
রুটিও আটা থেকে হয়
কাদামাটি বা আটা
শুরুতে ছেনে নিতে হয়
ফাইনাল ফর্মে যাবার পর
ইট কেউ ছানতে যায়না
রুটি ছিনিয়ে নিতে চায়
শান্তির অন্বেষণে
পারস্য থেকে হেবরনে
আব্রাহামের আগমনের পর
হিট্টিদের জীবনে শান্তি আসেনি
কোনদিন তারপর আর
হোসেনের শিরোচ্ছেদের পর
কারবালাতে শান্তি আসেনি
কোনদিন তারপর আর
সাড়া বিশ্ব ইহুদীদেরকে বিতারিত করে
নিজ ভূমে প্যালেস্টাইনিরা মরে
ভিটা ছেড়ে সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে পরে
ইহুদীরা প্যালেস্টাইনে এসে বসত গড়ে
এইভাবে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাতে
শান্তির গান বাজে
শিয়া সুন্নীরা লড়াই করে
বিদেশীরা এসে সম্পদ লুন্ঠন করে
ফোরাতে রক্তের স্রোত নাচে
শান্তির বাদ্যের তালে তালে
এইভাবে সাড়া বিশ্বের বেইমানেরা
বিদেশীদের কাছে বিক্রী করে মা, মাটি, মাথা
নিজ বাসভূমি পিছে ফেলে
রিফুজীরা
রক্তাক্ত শেকড় ফেলে আসে পৃথিবীর এক প্রান্তে
জন্ম দেয় আরও শান্তিপূর্ন জনমানবের
পৃথিবীর অন্য আরেক প্রান্তে
ধর্ম নয়
মানবতা নয়
শান্তি নয়
সম্পদ গ্রাসের লোভ
নিয়ন্ত্রন করে শান্তিকে
শান্তি নয় - যুদ্ধ এনে দেয় মুষ্টিতে
বিশ্ব নিয়ন্ত্রনের কলকাঠি
শান্তি মরিচিকা শুধু
শান্তি এক মূলো - গাধার নাকের ডগায় বাঁধা
নিরুপায়
নিরুপায়, অসহায় আর দুর্বলেরা ধর্মরে গালি দেয়
কর্তৃপক্ষের কিছু ছিড়তে পারেনা
ভারতের বানানো গাড়িতে চড়ে
কার্বন এমিশনে ভাইয়ের শ্বাসরোধ করে
নিজ দেশে ভারতীয় হুজুরের অধীনে চাকুরী করে
বেতনের পুরাটাই ভারতীয় পন্য ক্রয়ে শেষ
ঋনের জন্যেও ভারতের কাছে হাত পাতে
দুই পুরুষ ভারতের কাছে বন্ধক
ভারতের কিছু ছিড়তে পারেনা
হাজার বছর আগের কিসসা ও কাহিনীরে ছেড়ে
দুর্বল, ভিরু, কাপুরুষেরা
নিজের ভাইয়ের গলাতে পা দিয়ে দাঁড়ায়ে
ভারতের আপদমস্কক চাটাচাটি করে
মিরজাফরের বাচ্চারা এখন জেগেছে
পুজাপাঠে মেতেছে
দালালীর কমিশনে যদি আরও এক পুরুষেরে
রাখা যায় বন্ধক
আশায় বুক বেঁধে মেরুদ্বন্ডহীন স্থবির
পশুরা বুকে হাটে
লালা ফ্যালে - বিদেশী প্রভু খোঁজে
হাত ধরে উঠে দাঁড়াতে
হাজার বছরে পুরানা রুপকথা ছেড়ে
ভাঙা মেরুদ্বন্ডে গোঁজে
কর্তৃপক্ষের কিছু ছিড়তে পারেনা
ভারতের বানানো গাড়িতে চড়ে
কার্বন এমিশনে ভাইয়ের শ্বাসরোধ করে
নিজ দেশে ভারতীয় হুজুরের অধীনে চাকুরী করে
বেতনের পুরাটাই ভারতীয় পন্য ক্রয়ে শেষ
ঋনের জন্যেও ভারতের কাছে হাত পাতে
দুই পুরুষ ভারতের কাছে বন্ধক
ভারতের কিছু ছিড়তে পারেনা
হাজার বছর আগের কিসসা ও কাহিনীরে ছেড়ে
দুর্বল, ভিরু, কাপুরুষেরা
নিজের ভাইয়ের গলাতে পা দিয়ে দাঁড়ায়ে
ভারতের আপদমস্কক চাটাচাটি করে
মিরজাফরের বাচ্চারা এখন জেগেছে
পুজাপাঠে মেতেছে
দালালীর কমিশনে যদি আরও এক পুরুষেরে
রাখা যায় বন্ধক
আশায় বুক বেঁধে মেরুদ্বন্ডহীন স্থবির
পশুরা বুকে হাটে
লালা ফ্যালে - বিদেশী প্রভু খোঁজে
হাত ধরে উঠে দাঁড়াতে
হাজার বছরে পুরানা রুপকথা ছেড়ে
ভাঙা মেরুদ্বন্ডে গোঁজে
খুব ছোট্র এক পাখী – ফিঞ্চ
খুব ছোট্র এক পাখী – ফিঞ্চ
গলাতে সরু বাদামী
সরু নীল রঙ দুই ডানাতে ছড়িয়ে
চলে গেছে ল্যাজের শেষ পর্যন্ত
শীষ দেয় এডালে সেডালে এসে
তারপর নিমেষেই উড়ে যায়
একেবারে বনের আরেক প্রান্তে
এইভাবে খুঁজে নেয় সাথীরে
খুব ছোট্র এক পাখী – ফিঞ্চ
গলাতে সরু বাদামী
সরু নীল রঙ দুই ডানাতে ছড়িয়ে
চলে গেছে ল্যাজের শেষ পর্যন্ত
শীষ দেয় এডালে সেডালে এসে
তারপর নিমেষেই উড়ে যায়
একেবারে বনের আরেক প্রান্তে
এইভাবে খুঁজে নেয় সাথীরে
খুব ছোট্র এক পাখী – ফিঞ্চ
বিশ্বাসের দরদাম
বিশ্বাস দুইভাবে অর্জিত হতে পারে
কিনে
মাগনা
খরিদ করা বিশ্বাস মোটামুটি টেকসই
না হলেও বিক্রিত মালের গারান্টি আছে
মাগনা বিশ্বাস করলে সাথে ঝুকি থাকে
হারাবার
বিশ্বাস হারিয়ে পাগল হবার বেদনা
বিশ্বাস হত্যা হলে তার দাফন কাফনের যাতনা
মাগনা বিশ্বাস অনেকটা
নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার মতো
নিজ দায়িত্বে বিশ্বাস করো
নিজ দায়িত্বে কাঁটার উপরে চলো
রক্তাক্ত করো গোড়ালি
বাকী পথে পথে
ফেলে রেখে যাও চিহ্ন
যা কেউ চিনতে পারেনা
বুঝতে পারেনা কখনও
বিশ্বাস করতে পারেনা অবিশ্বাসকে
কেউ বিশ্বাস করেনা তোমাকে
বেদনাকে/যাতনাকে/মর্মপীড়াকে
সেই মাগনা বিশ্বাসে মোহিনী যাদু আছে
আগে আসিলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে
খুব কাটতি বাজারে
যদি এই বিশ্বাস সত্যি হয়
মন্দ নয়!
টাকা দিয়ে বিশ্বাস কিনে যদি ঠকতে হয়!
তারচেয়ে মাগনা দিয়ে ট্রাই করো
তাই মাগনা বিশ্বাস যদি ঠকায়
তবু ভাল
মন্দের
তবু মন মানেনা
মাগনা আর কেনা
দুটোতেই ঝুকি মনে পচন ধরার
কিনে
মাগনা
খরিদ করা বিশ্বাস মোটামুটি টেকসই
না হলেও বিক্রিত মালের গারান্টি আছে
মাগনা বিশ্বাস করলে সাথে ঝুকি থাকে
হারাবার
বিশ্বাস হারিয়ে পাগল হবার বেদনা
বিশ্বাস হত্যা হলে তার দাফন কাফনের যাতনা
মাগনা বিশ্বাস অনেকটা
নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার মতো
নিজ দায়িত্বে বিশ্বাস করো
নিজ দায়িত্বে কাঁটার উপরে চলো
রক্তাক্ত করো গোড়ালি
বাকী পথে পথে
ফেলে রেখে যাও চিহ্ন
যা কেউ চিনতে পারেনা
বুঝতে পারেনা কখনও
বিশ্বাস করতে পারেনা অবিশ্বাসকে
কেউ বিশ্বাস করেনা তোমাকে
বেদনাকে/যাতনাকে/মর্মপীড়াকে
সেই মাগনা বিশ্বাসে মোহিনী যাদু আছে
আগে আসিলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে
খুব কাটতি বাজারে
যদি এই বিশ্বাস সত্যি হয়
মন্দ নয়!
টাকা দিয়ে বিশ্বাস কিনে যদি ঠকতে হয়!
তারচেয়ে মাগনা দিয়ে ট্রাই করো
তাই মাগনা বিশ্বাস যদি ঠকায়
তবু ভাল
মন্দের
তবু মন মানেনা
মাগনা আর কেনা
দুটোতেই ঝুকি মনে পচন ধরার
আবর্জনার সজ্ঞা
একজনের কাছে পরিত্যক্ত
আরেকজনের কাছে পরম সম্পদ
একজনের কাছে প্রয়োজনীয়
আরেকজনের কাছে অপ্রয়োজনীয়
একজন ফেলে দেয়
আরেকজন কুড়িয়ে নেয়
একজন ঘৃনা করে
আরেকজন ভালবাসে
একজনের আছে অঢেল
আরেকজনের আছে ঘাটতি তাই নিরুপায়
স্ত্রী দ্বারা পরিত্যাক্ত পুরুষের স্ত্রীর অভাব নাই
স্বামী পরিত্যাক্তাদের স্বামীর অভাব
পুরুষেরা ভয় পায় পু্নরায় বা পরিত্যাক্ত হবার।
সরে এসো দুঃখ থেকে
সরে এসো
সেই প্রান্ত থেকে
স্বব্ধ সময়ের
জঙ ধরা করাত দিয়ে ভেজা গাছ কাটা
এক চিলতে রোদ
এসে বসতে না বসতেই
উধাও
আরেক হেমন্তের আশায়
পড়ে দেখো সব শব্দ
হোচট খাবে নিজেরই কল্পনাতে
একদিন এইসব গল্প, গল্প ছিলনা
প্রত্যাশিত শব্দ ছিল
ভাতের জন্য অপেক্ষারত ক্ষুধার্ত পেটের মত
সরে এসো
কার্নিশের অতটা কাছে গেলে
হাত যদি রেলিং ফসকায়
মুখ থুবড়ে পড়বে তুমি
নিজেরই ছায়ায়
দুঃখের অন্যপিঠে একটি নয়
আমাদের দুজনেরই নাম ছিল
লেখা প্রতিশ্রুতির সবুজ কালিতে
সেই রঙ ফ্যাকাসে হলো
সেই গল্প প্রাচীন হলো
তুমি শুধু এখনও দাঁড়িয়ে আছো
মিউজিয়ামের বৃহৎ ঘরে
সরে এসো – দু’পা হেটে মোর পেরুলেই
ঝম ঝম করে বৃষ্টি নেমে
ধুয়ে যাবে এই প্রাচীন গল্প
তখন ঝির ঝিরে বাতাসে
শেষ রোদ্দুর মুঠোতে ধরে ফেলো
আলতো করে
সরে এসো দুঃখ থেকে
সেই প্রান্ত থেকে
স্বব্ধ সময়ের
জঙ ধরা করাত দিয়ে ভেজা গাছ কাটা
এক চিলতে রোদ
এসে বসতে না বসতেই
উধাও
আরেক হেমন্তের আশায়
পড়ে দেখো সব শব্দ
হোচট খাবে নিজেরই কল্পনাতে
একদিন এইসব গল্প, গল্প ছিলনা
প্রত্যাশিত শব্দ ছিল
ভাতের জন্য অপেক্ষারত ক্ষুধার্ত পেটের মত
সরে এসো
কার্নিশের অতটা কাছে গেলে
হাত যদি রেলিং ফসকায়
মুখ থুবড়ে পড়বে তুমি
নিজেরই ছায়ায়
দুঃখের অন্যপিঠে একটি নয়
আমাদের দুজনেরই নাম ছিল
লেখা প্রতিশ্রুতির সবুজ কালিতে
সেই রঙ ফ্যাকাসে হলো
সেই গল্প প্রাচীন হলো
তুমি শুধু এখনও দাঁড়িয়ে আছো
মিউজিয়ামের বৃহৎ ঘরে
সরে এসো – দু’পা হেটে মোর পেরুলেই
ঝম ঝম করে বৃষ্টি নেমে
ধুয়ে যাবে এই প্রাচীন গল্প
তখন ঝির ঝিরে বাতাসে
শেষ রোদ্দুর মুঠোতে ধরে ফেলো
আলতো করে
সরে এসো দুঃখ থেকে
যথাক্রমে পবিত্র ও অপবিত্র
গোসল করে
অজু করে
পাক পবিত্র হলো দেহ
আর মন?
নামাজে আসার আগে
নতুন কাজের বেটির
আটোসাটো দেহ আঁকা
যে মনে
সেই মন হলো পবিত্র
প্রেম পবিত্র হয় দুইভাবেঃ
আইনের কাগজে দস্তখত করে দেহদান
স্বামী ছাড়াও বিবাহ বহির্ভূত প্রেমিককে দেহদান
এই দুই সম্পর্কই পবিত্র
এখানে অপবিত্র কি কি?
উপরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা
স্ত্রীর চোখের তারাতে সন্দেহের ঘনঘটা
পান থেকে
খসে যাওয়া চুন অপবিত্র
চাহিবামাত্র দেহদান - পবিত্র
সমঝোতাতে অস্বীকৃতি অপবিত্র
শরীরে বহু ভালবাসার ঘ্রান পবিত্র
মনে একাকী ভোগের আকাঙ্ক্ষা অপবিত্র
ভাগ বাটোয়ারা পবিত্র
যদি তা কেউ জেনে যায় - অপবিত্র
প্রকাশ আর অপ্রকাশের মাঝামাঝি
পবিত্রতা আর অপবিত্রতার বসবাস
মন অপবিত্র
যে মন বহুগমনে ইর্ষান্বিতা
অজু করে
পাক পবিত্র হলো দেহ
আর মন?
নামাজে আসার আগে
নতুন কাজের বেটির
আটোসাটো দেহ আঁকা
যে মনে
সেই মন হলো পবিত্র
প্রেম পবিত্র হয় দুইভাবেঃ
আইনের কাগজে দস্তখত করে দেহদান
স্বামী ছাড়াও বিবাহ বহির্ভূত প্রেমিককে দেহদান
এই দুই সম্পর্কই পবিত্র
এখানে অপবিত্র কি কি?
উপরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা
স্ত্রীর চোখের তারাতে সন্দেহের ঘনঘটা
পান থেকে
খসে যাওয়া চুন অপবিত্র
চাহিবামাত্র দেহদান - পবিত্র
সমঝোতাতে অস্বীকৃতি অপবিত্র
শরীরে বহু ভালবাসার ঘ্রান পবিত্র
মনে একাকী ভোগের আকাঙ্ক্ষা অপবিত্র
ভাগ বাটোয়ারা পবিত্র
যদি তা কেউ জেনে যায় - অপবিত্র
প্রকাশ আর অপ্রকাশের মাঝামাঝি
পবিত্রতা আর অপবিত্রতার বসবাস
মন অপবিত্র
যে মন বহুগমনে ইর্ষান্বিতা
ভূত ভবিষ্যত
জ্যোতিষীর সব কথা রাতারাতি ঠিক হয়না
সেটা আমিও জানতাম
আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে
বলেই তো গেলাম
হাতের মুঠো খুলে দিলাম
আর সব ভাগ্য উবে গেল রাতারাতি
সেটা আমিও জানতাম
যদি বলি ভালবাসি
তুমি বোঝো মাল বিকোচ্ছেনা
বাজার খারাপ
যদি বলি ঘৃনা করি
তুমি বলো মাগী দেমাগ দেখাচ্ছে
ভাউ বাড়াচ্ছে বাজারে
আমিও জানতাম সেটা
বাজারে মাল বেচাকেনার
দক্ষতা সবার সমান নয়
কেউ বেশী মুনাফা করে কেউ কম
এই দক্ষতাই মাল বিক্রী করে
ব্যবসায়ী/টাকাকড়ি মালপানি
সম্পদ/বৈভব/গহনা/শাড়ী
এ্যাত পছন্দ অথচ
বেচাকেনা নাম শুনে নাক কেন সিটকায়
জানতাম সেটা আমিও
মুঠো খুলে দিলাম
পড়ে ফেললে ভূতভবিষ্যত
আর ভেঙ্গে দিলে স্বপ্ন চুরমার
নষ্ট করে দিলে আচ্ছাখাসা বাজার
জ্যোতিষীর কাছেই ঠেলে দিলে অগত্যা
আমি জানতাম
এমন যে হবে তা
সেটা আমিও জানতাম
আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে
বলেই তো গেলাম
হাতের মুঠো খুলে দিলাম
আর সব ভাগ্য উবে গেল রাতারাতি
সেটা আমিও জানতাম
যদি বলি ভালবাসি
তুমি বোঝো মাল বিকোচ্ছেনা
বাজার খারাপ
যদি বলি ঘৃনা করি
তুমি বলো মাগী দেমাগ দেখাচ্ছে
ভাউ বাড়াচ্ছে বাজারে
আমিও জানতাম সেটা
বাজারে মাল বেচাকেনার
দক্ষতা সবার সমান নয়
কেউ বেশী মুনাফা করে কেউ কম
এই দক্ষতাই মাল বিক্রী করে
ব্যবসায়ী/টাকাকড়ি মালপানি
সম্পদ/বৈভব/গহনা/শাড়ী
এ্যাত পছন্দ অথচ
বেচাকেনা নাম শুনে নাক কেন সিটকায়
জানতাম সেটা আমিও
মুঠো খুলে দিলাম
পড়ে ফেললে ভূতভবিষ্যত
আর ভেঙ্গে দিলে স্বপ্ন চুরমার
নষ্ট করে দিলে আচ্ছাখাসা বাজার
জ্যোতিষীর কাছেই ঠেলে দিলে অগত্যা
আমি জানতাম
এমন যে হবে তা
সহ্য অসহ্য
তুমি এ্যাত জোরে কেশোনা!
তুমি এভাবে হেসোনা!
তুমি এভাবে বলোনা!
তুমি বেদনাদায়ক হলে
তুমি পরিত্রান পেলে
যাতনা নেই
হাসি, কাশি, উঠাবসা
অসহ্য কথা
নেই, নেই কিছু নেই
এইবার বলো, কেমন আছো?
তুমি কি শান্তি পেলে?
তুমি বিনে আমি শান্তিতে আছি
তুমি এভাবে হেসোনা!
তুমি এভাবে বলোনা!
তুমি বেদনাদায়ক হলে
তুমি পরিত্রান পেলে
যাতনা নেই
হাসি, কাশি, উঠাবসা
অসহ্য কথা
নেই, নেই কিছু নেই
এইবার বলো, কেমন আছো?
তুমি কি শান্তি পেলে?
তুমি বিনে আমি শান্তিতে আছি
লালন পালন
সবাই লালন পালনে অভ্যস্থ নয়
কেউ কেউ পালিত হতে ভালবাসে
অন্যগৃহে
নিজগৃহ থেকে বিতারিত হয়ে
কেউ কেউ যাযাবর হতে ভালবাসে
কি যেন জ্বলে যায় প্রতিদিন
আগুনের আঁচ অনুভব হয় শুধু
নেভাতে পারেনা আগুন
অনল নির্বাপনের যাদুর বালি
হারিয়ে গেছে
অনেক আগে
প্রাচীন পুঁথির বিলুপ্ত দাগে
ধরে নিচ্ছি কিছু লেখা ছিল
সেখানে একদিন
এখন যা কল্পনা শুধু
বাস্তবে পা রাখতে ভয়
তাই কল্পনার ফানুসে নির্ভর
কেটে যায় বেশ
একে ওকে দোষ দিয়ে
নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে
বাকী সব ছেড়ে দিয়ে
একদা অমুক ছিল
এখন আর সেসব তমুক নাই
হবেনা কোনদিন
নিজের মুরোদ জানা আছে
কি কি অজুহাত
ছিল এইসব প্রাচীরের আশেপাশে
কেউ কেউ পালিত হতে ভালবাসে
অন্যগৃহে
নিজগৃহ থেকে বিতারিত হয়ে
কেউ কেউ যাযাবর হতে ভালবাসে
কি যেন জ্বলে যায় প্রতিদিন
আগুনের আঁচ অনুভব হয় শুধু
নেভাতে পারেনা আগুন
অনল নির্বাপনের যাদুর বালি
হারিয়ে গেছে
অনেক আগে
প্রাচীন পুঁথির বিলুপ্ত দাগে
ধরে নিচ্ছি কিছু লেখা ছিল
সেখানে একদিন
এখন যা কল্পনা শুধু
বাস্তবে পা রাখতে ভয়
তাই কল্পনার ফানুসে নির্ভর
কেটে যায় বেশ
একে ওকে দোষ দিয়ে
নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে
বাকী সব ছেড়ে দিয়ে
একদা অমুক ছিল
এখন আর সেসব তমুক নাই
হবেনা কোনদিন
নিজের মুরোদ জানা আছে
কি কি অজুহাত
ছিল এইসব প্রাচীরের আশেপাশে
মন
মন বুঝে ফেললে
মন রাখা হলোনা
মন ভেঙ্গে গেলো
মন থেকে উড়ে
অন্যমনে বসলো যেয়ে
ভাঙা মন আর
লাগেনা জোড়
হাজারও সংযোগে
শুধু বিরম্বনা
এলোমেলো ভাবনা
মাঝখানে রইলো ঝুলে
বিদ্যুতের তারে ঝুলে
মৃত কাকের ডানা
একবার রওনা হয়েছিল
শেষ হয়নি যাত্রা
অন্যমনস্ক
এক দুর্বোধ্য বেদনা
আঁটকে দিলো পথিমধ্যে
কি ছিলনা
বোধহয় ভালবাসা
এই সাড়া পথে
বিশাল ভ্রমনে
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ
শুধু দুঃখ পেলে
ভালবাসতে যেয়ে
আটকে গেলে
মৃত কাক হয়ে
মন রাখা হলোনা
মন ভেঙ্গে গেলো
মন থেকে উড়ে
অন্যমনে বসলো যেয়ে
ভাঙা মন আর
লাগেনা জোড়
হাজারও সংযোগে
শুধু বিরম্বনা
এলোমেলো ভাবনা
মাঝখানে রইলো ঝুলে
বিদ্যুতের তারে ঝুলে
মৃত কাকের ডানা
একবার রওনা হয়েছিল
শেষ হয়নি যাত্রা
অন্যমনস্ক
এক দুর্বোধ্য বেদনা
আঁটকে দিলো পথিমধ্যে
কি ছিলনা
বোধহয় ভালবাসা
এই সাড়া পথে
বিশাল ভ্রমনে
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ
শুধু দুঃখ পেলে
ভালবাসতে যেয়ে
আটকে গেলে
মৃত কাক হয়ে
ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলা
সোনা ফেলে ছাই কুড়িয়ে
তুলে নেয় ভাঙা কুলো
ছাই ফেলতে
এখন সময় শেষ
দেখতে দেখতে দেখার অভ্যাস
বলতে বলতে বলার অভ্যাস
তবু শোনার অভ্যাস হলোনা
শুনতে শুনতে
বার বার
ঘ্যানর ঘ্যানর এক কথা
নতুন কিছু বলো
বচনে সুধা ছিলো
কোন এককালে
সুরভিত হতো
রাতের কামিনী
তৃষ্ণার্ত ঠোট
উষ্ণ প্রেম
একবার মনে হলো
খোসা শুধু
চুষে খেয়েছে ভেতর
খোকলা
মৈথন মিথ্যা
প্রেম নয় দুর্গন্ধ আসে ভাড়া করা দেহের
তুলে নেয় ভাঙা কুলো
ছাই ফেলতে
এখন সময় শেষ
দেখতে দেখতে দেখার অভ্যাস
বলতে বলতে বলার অভ্যাস
তবু শোনার অভ্যাস হলোনা
শুনতে শুনতে
বার বার
ঘ্যানর ঘ্যানর এক কথা
নতুন কিছু বলো
বচনে সুধা ছিলো
কোন এককালে
সুরভিত হতো
রাতের কামিনী
তৃষ্ণার্ত ঠোট
উষ্ণ প্রেম
একবার মনে হলো
খোসা শুধু
চুষে খেয়েছে ভেতর
খোকলা
মৈথন মিথ্যা
প্রেম নয় দুর্গন্ধ আসে ভাড়া করা দেহের
বিড়ি
শুধু লড়াই চলে চারিদিকে
বিড়ির ধুম্রজালে আটকে থাকে শ্বাস
রুদ্ধ হয়
দগ্ধ হয়
বন্ধ হয়
তবু শ্বাসেরে ভালবাসেনা
বিড়ি ভালবেসে
রুদ্ধ করে শ্বাসেরে
লড়াই করে শ্বাস প্রতি টানে
প্রতিবার
বার বার
ক্ষিন হয়
ধীর হয়
স্থির হয়
হেরে যায় শ্বাস এক সময়
বিড়ির ধুঁয়া বিজয়ের কাশি কাশে
অতঃপর
অক্সিজেন/নেমুলাইজ্যার/মাস্কে
অন্যান্য অষুধে দ্রুত
লড়াইয়ের মাঠে নামে
রেড ক্রসের মত
শ্বাস ফিরে আসে
আবার বিড়ি হাসে
ফাঁসির আসামীর শ্বাসের শেষ ইচ্ছা
বিড়ির সুখটান দেবো
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে।
বিড়ির ধুম্রজালে আটকে থাকে শ্বাস
রুদ্ধ হয়
দগ্ধ হয়
বন্ধ হয়
তবু শ্বাসেরে ভালবাসেনা
বিড়ি ভালবেসে
রুদ্ধ করে শ্বাসেরে
লড়াই করে শ্বাস প্রতি টানে
প্রতিবার
বার বার
ক্ষিন হয়
ধীর হয়
স্থির হয়
হেরে যায় শ্বাস এক সময়
বিড়ির ধুঁয়া বিজয়ের কাশি কাশে
অতঃপর
অক্সিজেন/নেমুলাইজ্যার/মাস্কে
অন্যান্য অষুধে দ্রুত
লড়াইয়ের মাঠে নামে
রেড ক্রসের মত
শ্বাস ফিরে আসে
আবার বিড়ি হাসে
ফাঁসির আসামীর শ্বাসের শেষ ইচ্ছা
বিড়ির সুখটান দেবো
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে।
ক্লান্ত প্রকৃতি
প্রকৃতির সাথে হেটে হেটে
খুব ক্লান্ত আজকে
পৃথিবী ।
ঝড়, বৃষ্টি, আলো, আঁধার
এদের সাথে ছুটে ছুটে
খুব ক্লান্ত আজকে
আমি।
বিশ্রাম নিতে নিতে
ক্লান্ত ।
একঘেয়ে জীবন টেনে হেচড়ে
ঘষেমেজে বলতে
ক্লান্ত ।
পা চলতে চায়না আর
মন টেনে নিয়ে চলে
হোচট খেয়ে পড়ি
অনিশ্চয়তার গর্তে ।
খুব ক্লান্ত আজকে
আমি।
খুব ক্লান্ত আজকে
পৃথিবী ।
ঝড়, বৃষ্টি, আলো, আঁধার
এদের সাথে ছুটে ছুটে
খুব ক্লান্ত আজকে
আমি।
বিশ্রাম নিতে নিতে
ক্লান্ত ।
একঘেয়ে জীবন টেনে হেচড়ে
ঘষেমেজে বলতে
ক্লান্ত ।
পা চলতে চায়না আর
মন টেনে নিয়ে চলে
হোচট খেয়ে পড়ি
অনিশ্চয়তার গর্তে ।
খুব ক্লান্ত আজকে
আমি।
সাধু
আমরা ভাব ধরতে ভাল পারি
এমন ভাব যেন ভাঁজা মাছ উলটে খেতে জানিনা
এমন ভাব যেন যত দোষ নন্দ ঘোষের
আমরা সবাই সাধু
তাইলে দোষীগুলা থাকে কৈ
সবাই সাধু বলেই
অসাধুদের দৈর্ঘ্যে, প্রস্থ, নির্ণয় করা যায়না
বজ্জ্বাতেরা করে থৈ থৈ
চারিধারে
সাধুর ভাব ধরে
এমন ভাব যেন ভাঁজা মাছ উলটে খেতে জানিনা
এমন ভাব যেন যত দোষ নন্দ ঘোষের
আমরা সবাই সাধু
তাইলে দোষীগুলা থাকে কৈ
সবাই সাধু বলেই
অসাধুদের দৈর্ঘ্যে, প্রস্থ, নির্ণয় করা যায়না
বজ্জ্বাতেরা করে থৈ থৈ
চারিধারে
সাধুর ভাব ধরে
মুখোশ
কে ভাল মানুষের মুখোশ পড়ে?
শয়তানে।
কে নিজের পরিচয় দেয়না?
শয়তানে।
অতিরিক্ত মনোহরন
প্রেমসিক্ত নিবেদন
নরম পদে বিচরন
চাহনি হরিনের মত
ভাব অসহায়
সব সময় হারাচ্ছে
সব সময় দিয়ে যাচ্ছে
ত্যাগে বিশ্বাসী
শয়তানে নেয় না কিছু
শুধু ব্যাথা পায়
বেদনাসিক্ত
ক্ষনে ক্ষনে আহত
তবু কৃতজ্ঞ
এইসব মুখোশ শয়তানের জন্য জরুরি
বিষাক্ত নখ বিস্তারের আগে
মাটি নরম করা প্রয়োজন
শয়তান সবার চেয়ে
সভ্য, ভদ্র
আর নিখুঁত অভিনেতা/অভিনেত্রী
শয়তানে।
কে নিজের পরিচয় দেয়না?
শয়তানে।
অতিরিক্ত মনোহরন
প্রেমসিক্ত নিবেদন
নরম পদে বিচরন
চাহনি হরিনের মত
ভাব অসহায়
সব সময় হারাচ্ছে
সব সময় দিয়ে যাচ্ছে
ত্যাগে বিশ্বাসী
শয়তানে নেয় না কিছু
শুধু ব্যাথা পায়
বেদনাসিক্ত
ক্ষনে ক্ষনে আহত
তবু কৃতজ্ঞ
এইসব মুখোশ শয়তানের জন্য জরুরি
বিষাক্ত নখ বিস্তারের আগে
মাটি নরম করা প্রয়োজন
শয়তান সবার চেয়ে
সভ্য, ভদ্র
আর নিখুঁত অভিনেতা/অভিনেত্রী
দালাল
ভাই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে
বিদেশীরা দূর থেকে হাসে
বিজয়ীর হাসি
বিদেশীরা সব সময়ই নির্দোষ
বিদেশীদের সব কিছুই সুন্দর
বিদেশিরা সব সময়ই নির্ভুল
বিদেশীদের পদলেহনে মধু
বিদেশীদের কমিশনে জাদু
ভাইয়ের পিঠে ছোড়া ভুকে
ভাইয়ের রক্তে স্নান করে পবিত্র
বিদেশীদের হুকুমে ল্যাজ নেড়ে
বিস্বস্ত কুকুর পদে পদোন্নতি
বিদেশীরা না থাকলে এ্যাত আরাম আয়েশ
যেতো সব রসাতলে
বেইমানীতে সরগ এসে
হাতের তালুতে তা থৈ থৈ নাচে
বিদেশীরা দূর থেকে হাসে
বিজয়ীর হাসি
বিদেশীরা সব সময়ই নির্দোষ
বিদেশীদের সব কিছুই সুন্দর
বিদেশিরা সব সময়ই নির্ভুল
বিদেশীদের পদলেহনে মধু
বিদেশীদের কমিশনে জাদু
ভাইয়ের পিঠে ছোড়া ভুকে
ভাইয়ের রক্তে স্নান করে পবিত্র
বিদেশীদের হুকুমে ল্যাজ নেড়ে
বিস্বস্ত কুকুর পদে পদোন্নতি
বিদেশীরা না থাকলে এ্যাত আরাম আয়েশ
যেতো সব রসাতলে
বেইমানীতে সরগ এসে
হাতের তালুতে তা থৈ থৈ নাচে
আশা
সব চেয়ে ছোট ছিল আশা
করা হতোনা তাই
একেবারে ধরা ছোয়ার বাইরে
থাকতো সব সময়
দুরের জিনিষ ক্ষুদ্র
অজানা অচেনা
কল্পনার ফানুস
যতক্ষন হাতের মুঠোতে না এলো
তো কল্পনার উষ্ণতা থেকেই গেলো
সেই দুর্লভকে পেতে
কতই না কল্পনা জল্পনা
একদিন গজব হলো
তো সে যখন কাছে এলো
ধরা দিলো
ব্যবহৃত হলো
তো ফালনা মনে হলো
আবার
চললো অধরা হননে
এক অভ্যাসের মতো
দুর্লভ প্রাপ্তির যোগ সুভ ।।
করা হতোনা তাই
একেবারে ধরা ছোয়ার বাইরে
থাকতো সব সময়
দুরের জিনিষ ক্ষুদ্র
অজানা অচেনা
কল্পনার ফানুস
যতক্ষন হাতের মুঠোতে না এলো
তো কল্পনার উষ্ণতা থেকেই গেলো
সেই দুর্লভকে পেতে
কতই না কল্পনা জল্পনা
একদিন গজব হলো
তো সে যখন কাছে এলো
ধরা দিলো
ব্যবহৃত হলো
তো ফালনা মনে হলো
আবার
চললো অধরা হননে
এক অভ্যাসের মতো
দুর্লভ প্রাপ্তির যোগ সুভ ।।
শান্তি
সারা বিশ্বে যারা বোমা বর্ষন করে
তারা আসলে শান্তি আর গনতন্ত্র বর্ষন করে
আশ্চর্য আমি এ্যাত পাথর
এই সুন্দর ব্যাপারটা
কোনদিনই অনুধাবন করতে পারিনি
অসহায়ের মত শুধু দেখেছি
মায়ের হাতে শিশুর মগজ
শহরে শহরে ধংসযজ্ঞ
বিষাক্ত বাতাস
জমে মেঘে যেয়ে চুপচাপ
অশ্রু আর কেমিক্যাল মিশে
হয় একাকার
আমি দেখি দাসত্ব
গনতন্ত্র আর শান্তি অনুধাবন করতে পারিনি
কোনদিন কোথাও
কোন বোমা
কোন আগ্নেয়াস্ত্র
কোন দালাল
কোন নেতা
কোন শান্তি পুরস্কার
কোন কিছুতেই কল্যানকর কিছু খুঁজে পাইনি
হতে পারে আমার দেখার ভুল
হতে পারে আমি অন্ধ
বোমা
ধংস
মৃতদেহের সাথে
গনতন্ত্রের সংযোগ
নতুন সময়ের
পুরোনো আর বেমানান
সন্ধান
তারা আসলে শান্তি আর গনতন্ত্র বর্ষন করে
আশ্চর্য আমি এ্যাত পাথর
এই সুন্দর ব্যাপারটা
কোনদিনই অনুধাবন করতে পারিনি
অসহায়ের মত শুধু দেখেছি
মায়ের হাতে শিশুর মগজ
শহরে শহরে ধংসযজ্ঞ
বিষাক্ত বাতাস
জমে মেঘে যেয়ে চুপচাপ
অশ্রু আর কেমিক্যাল মিশে
হয় একাকার
আমি দেখি দাসত্ব
গনতন্ত্র আর শান্তি অনুধাবন করতে পারিনি
কোনদিন কোথাও
কোন বোমা
কোন আগ্নেয়াস্ত্র
কোন দালাল
কোন নেতা
কোন শান্তি পুরস্কার
কোন কিছুতেই কল্যানকর কিছু খুঁজে পাইনি
হতে পারে আমার দেখার ভুল
হতে পারে আমি অন্ধ
বোমা
ধংস
মৃতদেহের সাথে
গনতন্ত্রের সংযোগ
নতুন সময়ের
পুরোনো আর বেমানান
সন্ধান
ছায়ার গল্প
আলো আঁধারে এক ছায়ার গল্প বলি
শব্দ করে কান্না করেনা সে মোটেই
যতই দুঃখ থাকুক
অপেক্ষা করে আঁধার কাটার
কেটে তো যায় তবে
কাটতে না কাটতেই আবার এসে
বসে জেঁকে
সেই ছায়ার মনে
মেঘের মত শব্দ ভাসে
কথা হবার আগেই সেইসব শব্দেরা
উড়ে যায় দূরে
দীর্ঘশ্বাসের দমকা বাতাসে
অন্যমনস্ক আর গভীর দুঃখ
মনের ক্লেদাক্ত পাথরের নীচে
চেপে রাখে
আঁধার এলে
সেইসব তিক্ত স্মৃতি উঁকি দেয়
মনের আনাচে কানাচে
অন্ধকারে খেলা করে একাকীত্বের সাথে
সেই ছায়ার অবয়বে এক পাথরের
পোষাক আছে
উপরে হাসির প্রলেপ মাখানো
আবেগের ঢেউ
কপোলে লাল আভা হয়ে থাকে
সেই ছায়ার নীচে
হাসি আর দুঃখ
বহুকাল বাস করে একসাথে
অচেনা অজানা দুই মেরুর বাসিন্দার মত
শব্দ করে কান্না করেনা সে মোটেই
যতই দুঃখ থাকুক
অপেক্ষা করে আঁধার কাটার
কেটে তো যায় তবে
কাটতে না কাটতেই আবার এসে
বসে জেঁকে
সেই ছায়ার মনে
মেঘের মত শব্দ ভাসে
কথা হবার আগেই সেইসব শব্দেরা
উড়ে যায় দূরে
দীর্ঘশ্বাসের দমকা বাতাসে
অন্যমনস্ক আর গভীর দুঃখ
মনের ক্লেদাক্ত পাথরের নীচে
চেপে রাখে
আঁধার এলে
সেইসব তিক্ত স্মৃতি উঁকি দেয়
মনের আনাচে কানাচে
অন্ধকারে খেলা করে একাকীত্বের সাথে
সেই ছায়ার অবয়বে এক পাথরের
পোষাক আছে
উপরে হাসির প্রলেপ মাখানো
আবেগের ঢেউ
কপোলে লাল আভা হয়ে থাকে
সেই ছায়ার নীচে
হাসি আর দুঃখ
বহুকাল বাস করে একসাথে
অচেনা অজানা দুই মেরুর বাসিন্দার মত
কেউ কারু নই
আমরা সবাই কারু না কারু
কেউ না কেউ হই
আমরা কেউই কারু নই
মাঝে মাঝে ঘরের মানুষ
পিঠে ভুকে দেয় ছুরি
অবশ লাগে
চোখে অবিশ্বাস নিয়ে
পিঠের অদৃশ্য ছুড়িতে হাত বুলায়
নাকের উপর নোনা জল গড়ায়
ধাক্কা লেগে
নর্দমাতে শেষ খাদ্যটুকু
উপুর হয়ে নস্ট হলে
যেমন কস্ট হয়
শূন্য মনে হয়
এ্যাত পরিবার পরিজন
এ্যাত সন্তান সন্তুতি
এ্যাত পরিশ্রম আর স্বপ্ন
নিমেষে উবে যায় কর্পুড়ের মত
ঘরের মানুষ নদীর জলের মতন
ঢেউয়ের দোলায় দোলায়
ভেঙ্গে ভেঙ্গে কূল
চলে যায় অন্য এক প্রান্তে
আমরা সবাই সবার
আর কেউ কারু নই
কেউ না কেউ হই
আমরা কেউই কারু নই
মাঝে মাঝে ঘরের মানুষ
পিঠে ভুকে দেয় ছুরি
অবশ লাগে
চোখে অবিশ্বাস নিয়ে
পিঠের অদৃশ্য ছুড়িতে হাত বুলায়
নাকের উপর নোনা জল গড়ায়
ধাক্কা লেগে
নর্দমাতে শেষ খাদ্যটুকু
উপুর হয়ে নস্ট হলে
যেমন কস্ট হয়
শূন্য মনে হয়
এ্যাত পরিবার পরিজন
এ্যাত সন্তান সন্তুতি
এ্যাত পরিশ্রম আর স্বপ্ন
নিমেষে উবে যায় কর্পুড়ের মত
ঘরের মানুষ নদীর জলের মতন
ঢেউয়ের দোলায় দোলায়
ভেঙ্গে ভেঙ্গে কূল
চলে যায় অন্য এক প্রান্তে
আমরা সবাই সবার
আর কেউ কারু নই
আড়াল
এ্যাত সুন্দর চোখ থেকেও
তুমি অন্ধ!
তুমি তো জন্মান্ধ নও!
সুন্দর চিন্তাশক্তি তবু
মাথার ভেতর এক বৃহৎ টিউমার
আড়াল করে রাখে
সত্য, মিথ্যা, পাপ, পুন্য
তুমি তো অবুঝ নও!
কাকে কষো হাজারবার ?
এইসব আহাজারি, অক্ষমতা, অজ্ঞতা, সীমাবদ্ধতা
আসমানী মেঘের নীচে ঢেকে রাখতে চাও!
তুমি তো পঙ্গু নও!
কেন এই আহাজারি
দিনরাত এটা নেই সেটা নেই
অভিযোগের ছেড়াছেড়ি
কোন প্রাচীন গ্রন্থের গহীনে
রাখতে চাও লুকিয়ে
দীর্ঘ তালিকা
তোমার সকল পাপের!
সব লেনদেনে
শ্বাসের লোল চক চক করে
লোভের লালা দিয়ে বোনা মাকড়শার
অদৃশ্য জাল
বুনে যাও শত সহস্র বছর ধরে
নিজের হাতে নিজের কবর খুড়ে
কাকে খোঁজো রাতদিন
দোষী করবে বলে
যে নেই তাঁকে দোষী করো
যে দোষী তাঁকে এড়িয়ে চলো
নিজের দুর্ভাগ্যের দোষে
নিজের মাথা খুটে মরো
ভাগ্যরে দাও সব দোষ
ইশ্বরে সারা না দিলে !
তুমি অন্ধ!
তুমি তো জন্মান্ধ নও!
সুন্দর চিন্তাশক্তি তবু
মাথার ভেতর এক বৃহৎ টিউমার
আড়াল করে রাখে
সত্য, মিথ্যা, পাপ, পুন্য
তুমি তো অবুঝ নও!
কাকে কষো হাজারবার ?
এইসব আহাজারি, অক্ষমতা, অজ্ঞতা, সীমাবদ্ধতা
আসমানী মেঘের নীচে ঢেকে রাখতে চাও!
তুমি তো পঙ্গু নও!
কেন এই আহাজারি
দিনরাত এটা নেই সেটা নেই
অভিযোগের ছেড়াছেড়ি
কোন প্রাচীন গ্রন্থের গহীনে
রাখতে চাও লুকিয়ে
দীর্ঘ তালিকা
তোমার সকল পাপের!
সব লেনদেনে
শ্বাসের লোল চক চক করে
লোভের লালা দিয়ে বোনা মাকড়শার
অদৃশ্য জাল
বুনে যাও শত সহস্র বছর ধরে
নিজের হাতে নিজের কবর খুড়ে
কাকে খোঁজো রাতদিন
দোষী করবে বলে
যে নেই তাঁকে দোষী করো
যে দোষী তাঁকে এড়িয়ে চলো
নিজের দুর্ভাগ্যের দোষে
নিজের মাথা খুটে মরো
ভাগ্যরে দাও সব দোষ
ইশ্বরে সারা না দিলে !
Tuesday, June 25, 2013
ছাড়পোকার মত দেশপ্রেমিক
ভালবাসা লেপটে থাকে লাল সবুজ পতাকায়
মানুষ মরে গেলে কেউ দাফন করেনা
জীবন চলে যায় হেসে খেলে যার যার কাজ শেষে
সবাই পতাকা ভালবাসে
গান ভালবাসে
মানুষের লাশ ভাসে
নর্দমাতে
জীবন এই রকম
ভালবাসার এক নিরাপদ জাগা আছে
সম্পুর্ন ঝুঁকি মুক্ত
ফেসবুকে পতাকা উড়াও
ঘরের পাশের নোংরা নর্দমাতে
মুখ থুবড়ে ঘুমন্ত যুবককে
পালটে দেখোনা
কে করে ঝামেলা!
কোন ড্রাগস কেস হবে হয়তো
সন্ত্রাসীকে ক্রশফায়ারে নিয়েছে
এইসব ব্যাপারে নিজেকে জড়ানো ভুল
ভালবাসার জন্য আছে পতাকা
বন্ধু গুম হয়েছে
বান্ধবী খুন হয়েছে
এইসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নেই
রাজনীতিও আমাদের জন্য নয়
আমরা ভালবাসি দেশকে
হেঁটে যায় মানুষের লাশের উপর দিয়ে
ভালবেসে
এটা সেটা টিপে দ্যাখো
যদি কিছু বেরুই
কাজে লাগবে
জীবন কাটে স্বপ্নে, গর্বে, অহংকারে
সুটকেসে ভরে রাখি
ভালবাসা, রীতিনীতি
ছারপোকার সাথে
বিজয়ের পতাকা
মানুষ মরে গেলে কেউ দাফন করেনা
জীবন চলে যায় হেসে খেলে যার যার কাজ শেষে
সবাই পতাকা ভালবাসে
গান ভালবাসে
মানুষের লাশ ভাসে
নর্দমাতে
জীবন এই রকম
ভালবাসার এক নিরাপদ জাগা আছে
সম্পুর্ন ঝুঁকি মুক্ত
ফেসবুকে পতাকা উড়াও
ঘরের পাশের নোংরা নর্দমাতে
মুখ থুবড়ে ঘুমন্ত যুবককে
পালটে দেখোনা
কে করে ঝামেলা!
কোন ড্রাগস কেস হবে হয়তো
সন্ত্রাসীকে ক্রশফায়ারে নিয়েছে
এইসব ব্যাপারে নিজেকে জড়ানো ভুল
ভালবাসার জন্য আছে পতাকা
বন্ধু গুম হয়েছে
বান্ধবী খুন হয়েছে
এইসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নেই
রাজনীতিও আমাদের জন্য নয়
আমরা ভালবাসি দেশকে
হেঁটে যায় মানুষের লাশের উপর দিয়ে
ভালবেসে
এটা সেটা টিপে দ্যাখো
যদি কিছু বেরুই
কাজে লাগবে
জীবন কাটে স্বপ্নে, গর্বে, অহংকারে
সুটকেসে ভরে রাখি
ভালবাসা, রীতিনীতি
ছারপোকার সাথে
বিজয়ের পতাকা
মৃত্যুর অজুহাত
সেদিন মৃত্যু ছিল।
সেদিন উল্লাস ছিল।
অনিশ্চিত ছিল সবকিছু।
আজও পৈশাচিক উল্লাস আছে
আজও মৃত্যু আছে
আজও জীবন অনিশ্চিত
সেদিনের মতই
স্বৈরাচারী যায়
স্বৈরাচারী আসে
প্রতিদিন পথে পথে তাজা লাশ পাওয়া যেতো
ধর্ষকেরা যাওয়া আর আসার মাঝে ছিল
ক্ষুধা ছিল
হাহাকার ছিল
চারিদিকে অস্ত্রের ঝনঝন ছিল
বিদেশী সৈন্যে ছিল
প্রস্থান আর প্রবেশের মাঝামাঝি
সেদিন মৃত্যু ছিল, বারুদের গন্ধ ছিল
আজ আকাশ রক্ত বর্ষন করে
আজও খুন হয় প্রতিদিন
বিজয়ের পৈশাচিক উল্লাসে
এখন
ভাই গলা কাটে ভাইয়ের
সেদিন উল্লাস ছিল।
অনিশ্চিত ছিল সবকিছু।
আজও পৈশাচিক উল্লাস আছে
আজও মৃত্যু আছে
আজও জীবন অনিশ্চিত
সেদিনের মতই
স্বৈরাচারী যায়
স্বৈরাচারী আসে
প্রতিদিন পথে পথে তাজা লাশ পাওয়া যেতো
ধর্ষকেরা যাওয়া আর আসার মাঝে ছিল
ক্ষুধা ছিল
হাহাকার ছিল
চারিদিকে অস্ত্রের ঝনঝন ছিল
বিদেশী সৈন্যে ছিল
প্রস্থান আর প্রবেশের মাঝামাঝি
সেদিন মৃত্যু ছিল, বারুদের গন্ধ ছিল
আজ আকাশ রক্ত বর্ষন করে
আজও খুন হয় প্রতিদিন
বিজয়ের পৈশাচিক উল্লাসে
এখন
ভাই গলা কাটে ভাইয়ের
স্মৃতির ঝাপিটা
অদৃশ্য হাত
মাথায় আঘাত করে
আচমকা
সেই হাত আসে
স্মৃতি ছিনিয়ে নিতে
ঝিম মেরে থাকি
কেউ প্রশ্ন করলে
উত্তরটা ক্রমশ দূরে চলে যায়
বুঝতে পারি ঐখানে
অথচ পড়তে পারিনা
স্মৃতির ঝাপিটা ছিনতাই হয়ে গেলে
আমি যুদ্ধ করি
বাতাসের সাথে
ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছা করে
যা কিছু দেখতে পায়
স্মৃতির ঝাপিটা দূর থেকে
আমাকে দ্যাখে
ফ্যাল ফ্যাল করে
তুমি কি এমনই রয়ে যাবে চিরকাল?
ভাল করে দ্যাখো
একেবারে হাতের কাছে
দাঁড়িয়ে আছে
সব প্রশ্নের উত্তর
ভাল করে দ্যাখো
স্মৃতির ঝাপিটা ধীরে ধীরে ফিরে আসে
করুনা করে
মাথায় আঘাত করে
আচমকা
সেই হাত আসে
স্মৃতি ছিনিয়ে নিতে
ঝিম মেরে থাকি
কেউ প্রশ্ন করলে
উত্তরটা ক্রমশ দূরে চলে যায়
বুঝতে পারি ঐখানে
অথচ পড়তে পারিনা
স্মৃতির ঝাপিটা ছিনতাই হয়ে গেলে
আমি যুদ্ধ করি
বাতাসের সাথে
ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছা করে
যা কিছু দেখতে পায়
স্মৃতির ঝাপিটা দূর থেকে
আমাকে দ্যাখে
ফ্যাল ফ্যাল করে
তুমি কি এমনই রয়ে যাবে চিরকাল?
ভাল করে দ্যাখো
একেবারে হাতের কাছে
দাঁড়িয়ে আছে
সব প্রশ্নের উত্তর
ভাল করে দ্যাখো
স্মৃতির ঝাপিটা ধীরে ধীরে ফিরে আসে
করুনা করে
দরকারি শব্দ
কোন শব্দ নেই
তবু শুনতে পাই
শ্বাস প্রশ্বাস
মনের ভেতর
অপেক্ষা করে
চলে যায়
দীর্ঘ সময়
কেউ জানেনা কার
তারাহুড়োতে
ভুলে যায়
হঠাৎ মাঝ পথে
সবকিছু নিশ্চুপ হয়
ভাবনার অপেক্ষায়
এই শ্বাস প্রশ্বাসের
শব্দ শুনবো তাই
তবু শুনতে পাই
শ্বাস প্রশ্বাস
মনের ভেতর
অপেক্ষা করে
চলে যায়
দীর্ঘ সময়
কেউ জানেনা কার
তারাহুড়োতে
ভুলে যায়
হঠাৎ মাঝ পথে
সবকিছু নিশ্চুপ হয়
ভাবনার অপেক্ষায়
এই শ্বাস প্রশ্বাসের
শব্দ শুনবো তাই
এক চিলতে রোদ্দুর
সেই রোদ্দুর আজ ছিল
তবে এক চিলতে
শুধু মুখ দেখিয়ে চলে গেলো সূর্য
অনেকদিনের ছুটিতে
বড় আলসেমী করে
উঠেছে দেরী করে
থাকতে বললে
হাসলো শুধু
না অবজ্ঞা
না আগ্রহ
শুধু হাসলো
এক চিলতে ঠোটের কোনে
সেই চলে যাবার আগে
শুধু একবার
বললো
এই অসময়ে
আর বসবোনা
চলে গেলে ভুলে যেও
মনের একপাশে ফেলে রেখোনা
ভুল করে
পরগাছার মত বেড়ে উঠতে পারে
মুছে ফেলো
উপরে ফেলো
মন থেকে
একেবারে সমূলে
না হলে কস্ট পাবে
ক্ষত হলে
তবে এক চিলতে
শুধু মুখ দেখিয়ে চলে গেলো সূর্য
অনেকদিনের ছুটিতে
বড় আলসেমী করে
উঠেছে দেরী করে
থাকতে বললে
হাসলো শুধু
না অবজ্ঞা
না আগ্রহ
শুধু হাসলো
এক চিলতে ঠোটের কোনে
সেই চলে যাবার আগে
শুধু একবার
বললো
এই অসময়ে
আর বসবোনা
চলে গেলে ভুলে যেও
মনের একপাশে ফেলে রেখোনা
ভুল করে
পরগাছার মত বেড়ে উঠতে পারে
মুছে ফেলো
উপরে ফেলো
মন থেকে
একেবারে সমূলে
না হলে কস্ট পাবে
ক্ষত হলে
শার্দুল
মাথার ভেতরে
আবার সেই ঢূপ ঢূপ
কে যেনো হাতুড়ী পেটাচ্ছে
মাথার ভেতরে
ঘর করছে ব্যাথারা
বাইরে শিতার্থ
হাতুড়ী পিটিয়ে জানালা বানাচ্ছে
মাথার ভেতরে
জানালা দিয়ে চাঁদ দেখবে ব্যাথারা
আবার সেই ঢূপ ঢূপ
কে যেনো হাতুড়ী পেটাচ্ছে
মাথার ভেতরে
ঘর করছে ব্যাথারা
বাইরে শিতার্থ
হাতুড়ী পিটিয়ে জানালা বানাচ্ছে
মাথার ভেতরে
জানালা দিয়ে চাঁদ দেখবে ব্যাথারা
Subscribe to:
Posts (Atom)