Saturday, May 5, 2012

মিছিলে পুলিশের গুলি – মানুষ হত্যা। খুনিরা কিভাবে দেশ শাসন করতে পারে ?



মানুষ গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, পচা গলা লাশ নদী নালাতে ভেসে উঠছে। এর প্রতিবাদে যদি আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল ডাকে, প্রতিবাদ মিছিল করে, তাহলে কি পুলিশ সেই মিছিলে বা হরতালের সমর্থকদের গুলি করে হত্যা করার অধিকার রাখে? “দেখামাত্র গুলি” করার নির্দেশ দিয়েছিলো আওয়ামীলীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান – দেখামাত্র নক্সালদের গুলি করো । এখন কি শেখ মুজিবের কন্যা - যে বা যাহারা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করবে “দেখামাত্র তাঁদের গুলি” করার হুকুম দিয়েছে ?

প্রবাসে বসে আমরা জানি যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধিন, গনতান্ত্রিক ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। স্বাধিন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্থাৎ বাংলাদেশে আর আগের মত আরবের, বৃটিশ বা পাকিস্তানের উপনিবেশ নাই। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গনতান্ত্রিক অধিকারকে ব্যবহার করে তাঁদের নিজেদের পছন্দমত সরকার গঠন করেছে। যদি তাই হয় তাহলে মিছিলে গুলি চলে কেনো ? জনগন আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করার সময় কি জনগনকে দেখামাত্র গুলি করার ব্লাঙ্ক চেকে দস্তখত করে দিয়েছে।

সরকার নির্বাচিত করা মানে আমরা বুঝি তারা জনগনের প্রতিনিধি আর জনগনের জন্য দেশ শাসন করবে, আর যদি কোন কারনে জনগন এই শাসকদের পছন্দ না করে বা সরকার যদি দেশ চালাতে অক্ষম বা ব্যর্থ হয় তাহলে জনগন অধিকার রাখে সরকাররের উপরে অনাস্থা জ্ঞাপন করে নতুন নির্বাচন করার। এখন বিএনপী বা জামাতে লোককে যদি আওয়ামীলীগ সরকার হত্যা করে তাহলে কি সেই হত্যা জনগনকে হত্যা বলে পরিগনিত হয় ? যেহেতু জামাতের সবাই যুদ্ধাপরাধি আর বিএনপীর সবাই পাকিস্তানের দালাল তাই তাদেরকে “দেখামাত্র গুলি “ করা যাবে? এটা কি বৈধ ।?

যদি বৈধ হয়ে থাকে তাহলে এই বৈধতা সরকারকে কে দিয়েছে ? প্রবাসে বসে আমরা জানি যে মিছিলে গুলি চলেছে। বাংলাদেশের পুলিশ বাংলাদেশ সরকারে নির্দেশে মিছিলে বা হরতালের সমর্থকদের গুলি করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ সরকার যেকোন সাধারন খুনীর মতই খুনি। বাংলাদেশ সরকার ক্রিমিনাল। সরকারের তো দেশ শাসন তো দূর – সবাইকে খুনের অপরাধে জেলে থাকা উচিৎ। অথচ তা হচ্ছেনা। তার কারন কি? তার কারন হলো বাংলাদেশ বা পূর্ব বাংলা কোনদিন স্বাধিন হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের শরীর রক্তাক্ত করে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ভারতের হাতে অর্পন করা হয়েছে। সেই কারনেই ভারতের প্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে আওয়ামীলীগকে মুজিবের নেতৃত্রে সরকার হিসাবে গদিতে আসীন করা হয়েছিলো। এখনও সেই একই ভারতের প্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়মালীগ গদিতে আসীন। আর সেজন্যেই জনগনের রক্তে রক্তাক্ত তথাকথিত স্বাধীন বাংলাদেশ।

যে রাজনৈতিক দলই ভারত/যুক্তরাষ্ট্রের দালালী করবে সেই রাজনৈতিক দলই তাঁদের স্বার্থে বাংলাদেশকে বাংলাদেশীদের রক্তে রক্তাক্ত করবে। মুজিব থেকে হাসিনা – বার বার এরা ক্ষমতায় এসে বার বার প্রমানিত করেছে বাংলাদেশ স্বাধিন নয়। বাংলাদেশের জনগনের মত প্রকাশের কোন অধিকার নাই। বিরোধীদলের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। হরতাল, মিছিল, প্রতিবাদ করলে সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হবে। বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নাই। প্রতারনা দিয়েই শেখ মুজিবের রাজনীতি শুরু হয়। ধোকাবাজ, চাপাবাজ, জালিয়াত, বিশেষ অভিনেতা, শেখ মুজিব তার আবেগ আপ্লুত কন্ঠে হুঙ্কার দিয়েই জনগনের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলো। শোনা মাত্রই সবাই প্রেমে পড়ে গেলো ফটাফট। জনগনকে প্রথমে হতবাক পরে বাকহারা করে শেখ মুজিবের খুনাখুনি শুরু হয়েছিলো এখন হাসিনার খুনাখুনী চলছে। আর এইসময় খুব অবাক হতে হয় এই ভেবে যে রাজপথে যখন গুলি চলে, মানুষ হত্যা করা হয় তখন সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। কারন এই মৃত জামাতে ইসলামিয়া বা বিএনপীর সমর্থক ছিলো। মানুষ হত্যা অপরাধ নয় – জামাত বা বিএনপী করা অপরাধ ।

" বাংলার মানুষ মুক্তি চায়" - বলে হুঙ্কার দিয়েছিলো আওয়ামীলীগের মুজিব । বাংলাদেশের পুলিশ বাংলার মানুষের মুখে লাথি মেরে  বা গুলি চালিয়ে মানুষকে জীবন থেকে মুক্ত করে দিচ্ছে -  শেখদের শাসনামলে ।

No comments:

Post a Comment