নির্যাতন অনেক প্রকারের হতে পারে। আর নারী ও পূরুষ দুই লিঙ্গের উপরই নির্যাতন হতে পারে। এখানে মূল চাবিকাঠী হলো ক্ষমতায়ন। নারী হোক আর পুরুষ কোন কারনে কেউ যদি কারু উপর ক্ষমতায়ন করতে পারে তাহলে সে তাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করবে আর না করতে পারলেই নির্যাতন করবে। এই নির্যাতনচক্রের প্রথম ধাপ হলো দুর্বলতা খুজে বের করা, দ্বিতীয় ধাপ হলো স্বার্থ আদায় (বর্তমানের জন্য বা ভবিষ্যতে জন্য), তৃতীয় ধাপ হলো ক্ষমতায়ন, চতুর্থ ধাপ হলো নির্যাতন আর পঞ্চম ধাপ হলো মেরুদ্বন্ডে ভাঙ্গন সৃষ্টি করা যাতে এই মানুষ আর কোনদিন সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারে, মানসিকভাবে নির্যাতনকারীর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে আর চক্রের শেষ ধাপ হলো মানসিক মৃত্যু।
সমাজে পুরুষকে সচারচর নারীর উপর নির্যাতন করতে দেখা যায় । এর অনেক কারন আছে। অন্যতম হলো পুরূষের মানসিক শক্তি নারীর চেয়ে দুর্বল - সেটা টের পেলে পুরুষ নিজের অজান্তে ভয় পায় এই ভেবে যে এই নারীর মানসিক শক্তি বা বল এই পুরুষকে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রন করতে উদোগী হতে পারে। পুরুষ এই নারীকে হারাবার ভয় পায়। কারন পুরুষ এই নারীকে কোন এক কারনে নিজের সম্পত্তি হিসাবে গ্রহন, ব্যবহার, আর মনের ভেতর প্রতিষ্ঠা করেছে - এইসব কিছু হারিয়ে যাবে যদি নারী তার ভেতরে সুপ্ত মানসিক বল বা ক্ষমতার ঠিক ঠিক প্রয়োগ করে। সেই কারনে পুরুষকে দেখা যায় নারীর উপর অত্যাচার করতে।
নির্যাতন দুই ধরনের হতে পারে ঃ শারিরীক আর মানসিক।
প্রেমের ক্ষেত্রে এটা বেশী দেখা যায়। পুরুষ ঘোষনা দেয় – “আমি তোমাকে ভালবাসি”। তোমার সবকিছুই সুন্দর কিন্তু কিছু কিছু জিনিষ আমি পছন্দ করিনা। “আমি তোমাকে ভালবাসি” বলে পুরুষ নারীকে বায়না করে বা এডভান্স বুকিং দেয়। আটক করে জালে।
আর তারপর এই "ভালবাসা" কে পুরাপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য বা নারীকে দূর্বল করার পূর্বশর্ত হিসাবে পুরুষ তার মন গড়া এক ফর্দ প্রস্তুত করে । সেই ফর্দের সর্বাগ্রে থাকে -- পুরষকে পুরুষ হবার কারনে খুলে রাখতে হবে - বাঁধা যাবেনা । পুরুষ
অনেক নারীকে সম্ভোগ করতে পারে, যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, পুরুষের নিজের শারীরিক আর মানষিক পরিতৃপ্তির জন্য সে যাই করুক না কেন - এই ভালাবাসার নারীটি তাতে কোন বাধ সাধতে পারবে না --- এই হলো ভালবাসার পূর্ব শর্তের ফর্দের হেড লাইন।
আর বিয়ে করলে তো পুরা অধিকার – যখন যেভাবে খুশী নিয়ন্ত্রন করতে পারবে আর না করতে পারলেই নির্যাতন। শারিরীক বা মানসিক যখন যেটা সম্ভব। আর সন্তানের মা হয়ে গেলে তো অনেক দুর্বল হয়ে যায় নারী – সন্তানের প্রতি ভালবাসা আর স্বামী
সন্তানকে যাতে না হারাতে হয় সেই জন্য মুখ বুজে সব সহ্য করা।
আরও আছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যাপার। অনেক ছেলেরাই বেকার। আজ ঘর ছাড়লে কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো, কি করবো। যদি মাবাবা না থাকে তাহলে তো ফাঁদ আরো শক্ত হয়ে যায় । পালাবার পথ নেই।
আরও আছে মনের দুর্বলতা। ভালবাসি স্বামীকে। এত ভালবাসি তবু মন পায়না। এত ভালবাসি তবু খারাপ ব্যবহার করে। দেখো একই মানুষ ঘরে খারাপ ব্যবহার করে আর বাইরে অন্য মেয়েদের সাথে কত সুন্দর ব্যবহার করে। যদি এইসব মেয়েদের কাছে যেয়ে আমি আমার পিঠের শুকিয়ে যাওয়া নির্যাতনের দাগগুলো দেখায় যদি আমার মনের দগদগে ঘাগুলো যা কোনদিন শুখাবে না তা খুলে ধরি তাহলে এইসব মেয়েরা যারা আমার স্বামীকে একজন সাধু আর প্রেমময় পুরুষ হিসাবে জানে তারা আমাকে বিশ্বাস করবেনা। আমার স্বামী সব মেয়েদের সাথে মিথ্যা বলে না সবার সাথে প্রতারনা করেনা। অনেক মেয়েরাই তাকে একজন ভালবাসার দেবতা হিসাবে জানে। আসলে কি তা সত্য?
সারা বিশ্বেই নারীরা নানাভাবে পুরুষ দ্বারা নির্যাতিতা হয়। তবে বিশ্বের অনেক দেশে আইনের দ্বারা এই নির্যাতন বন্ধ করার প্রচেস্টা আর প্রয়োগ আছে। নারীকে শারিরীকভাবে নির্যাতনের কারনে পুরুষের জেল হতে পারে । অনেক পুরুষ তাতে আরো
হিংস্র হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে - এমন ঘটনাও আছে। বিশ্বের যেসব দেশে আইন আছে আর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আছে সেসব দেশে নারী নির্যাতনের হার যে কমেছে তা নয় কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে তালাক, নিরাপদে সরে যাওয়া, এড়িয়ে যাওয়া, গৃহ বদল, ঠীকানা
না দেওয়া, দেশ ত্যাগ অনেকভাবে এই নির্যাতন এড়ানো যায়। এতে সমাজে অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যেমন সন্তানদের বাবা সম্পর্কে ভাল ধারনা মানসিক বিকাশে কিছু দ্বন্দ্বের সৃষ্টি, একাকিত্ব, বিশ্বাসের মৃত্যু ইত্যাদি।
নারী বা পুরুষ - বেঁচে থাকার জন্য মনোবলের প্রয়োজন সব দেশে সব খানে সব সময়। মনোবল বা মানসিক শক্তির উপর শারীরিক সুস্থ্যতা আর সুন্দর দীর্ঘ জীবন নির্ভ্রর করে। সব পুরুষ যে খারাপ বা সব নাড়ি যে নির্যাতিতা ঢালাওভাবে এটা ভাবার
কোন কারন নেই। তবে নির্যাতনের উপস্থিতি আছে ঘরে, সংসারে, সমাজে, দেশে - এই সব নির্যাতনের ধারা, রুপ, রং, বর্ন, আকার, আয়তন, গন্ধ, ইশারা, কারনগুলোকে জানতে হবে। পরিহার করতে হবে। আর নিজের মনোবলকে সুদৃঢ, সুস্থ, সুন্দর আর সাবলীল রাখতে হবে জীবনে ভাল সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। ভাল্ভাবে বাচার জন্য। জীবন খুব ছোট। যত দিন বাঁচি - শান্তিতে বাঁচবো - সুখে থাকবো।
অন্যের কথা বলার আগে প্রথমে নিজের কথা বলা ভাল। আমি একজন নির্যাতিতা নারী। কথাট শুনে অনেক হাসি পাবে সবার । আপনি এত কথা বলেন আপনাকে কে নির্যাতন করবে? প্রশ্নটা তারা করবে যারা কোন কিছুকেই গভীরভাবে ভাবেনা কারন ভেবে তাদের কোন লাভ নেই তাই। আমি যদি নির্যাতিতা না হতাম তাহলে নির্যাতিতা হবার কারন জানতাম না। পুরুষের হীনমত্যতা জানতাম না। পুরুষ কখন প্রতারনা করে বা মিথ্যা বলে বুঝতাম না। পুরুষ কখন সাহায্যের হাত বাড়ায় জানতাম না। পুরুষ শুধু মাত্র নিজের প্রয়োজনেই নারীকে উদ্ধার করার জন্য হাত বাড়ায়। নারী পুরুষের সম্পর্ক ভালবাসার চাইতে একটি পার্টনারসীপ ব্যবসা হিসাবে দেখলে ভাল হবে। একটা লেনদেনের সম্পর্ক। পুরুষ সবার কাছ থেকে সব কিছু যখন পেতে চায় পার্টনারসীপে ফাটল ধরে। তখন এটা একটা কর্পোরেশন হয়ে যায়।
সমাজে পুরুষকে সচারচর নারীর উপর নির্যাতন করতে দেখা যায় । এর অনেক কারন আছে। অন্যতম হলো পুরূষের মানসিক শক্তি নারীর চেয়ে দুর্বল - সেটা টের পেলে পুরুষ নিজের অজান্তে ভয় পায় এই ভেবে যে এই নারীর মানসিক শক্তি বা বল এই পুরুষকে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রন করতে উদোগী হতে পারে। পুরুষ এই নারীকে হারাবার ভয় পায়। কারন পুরুষ এই নারীকে কোন এক কারনে নিজের সম্পত্তি হিসাবে গ্রহন, ব্যবহার, আর মনের ভেতর প্রতিষ্ঠা করেছে - এইসব কিছু হারিয়ে যাবে যদি নারী তার ভেতরে সুপ্ত মানসিক বল বা ক্ষমতার ঠিক ঠিক প্রয়োগ করে। সেই কারনে পুরুষকে দেখা যায় নারীর উপর অত্যাচার করতে।
নির্যাতন দুই ধরনের হতে পারে ঃ শারিরীক আর মানসিক।
প্রেমের ক্ষেত্রে এটা বেশী দেখা যায়। পুরুষ ঘোষনা দেয় – “আমি তোমাকে ভালবাসি”। তোমার সবকিছুই সুন্দর কিন্তু কিছু কিছু জিনিষ আমি পছন্দ করিনা। “আমি তোমাকে ভালবাসি” বলে পুরুষ নারীকে বায়না করে বা এডভান্স বুকিং দেয়। আটক করে জালে।
আর তারপর এই "ভালবাসা" কে পুরাপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য বা নারীকে দূর্বল করার পূর্বশর্ত হিসাবে পুরুষ তার মন গড়া এক ফর্দ প্রস্তুত করে । সেই ফর্দের সর্বাগ্রে থাকে -- পুরষকে পুরুষ হবার কারনে খুলে রাখতে হবে - বাঁধা যাবেনা । পুরুষ
অনেক নারীকে সম্ভোগ করতে পারে, যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, পুরুষের নিজের শারীরিক আর মানষিক পরিতৃপ্তির জন্য সে যাই করুক না কেন - এই ভালাবাসার নারীটি তাতে কোন বাধ সাধতে পারবে না --- এই হলো ভালবাসার পূর্ব শর্তের ফর্দের হেড লাইন।
আর বিয়ে করলে তো পুরা অধিকার – যখন যেভাবে খুশী নিয়ন্ত্রন করতে পারবে আর না করতে পারলেই নির্যাতন। শারিরীক বা মানসিক যখন যেটা সম্ভব। আর সন্তানের মা হয়ে গেলে তো অনেক দুর্বল হয়ে যায় নারী – সন্তানের প্রতি ভালবাসা আর স্বামী
সন্তানকে যাতে না হারাতে হয় সেই জন্য মুখ বুজে সব সহ্য করা।
আরও আছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যাপার। অনেক ছেলেরাই বেকার। আজ ঘর ছাড়লে কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো, কি করবো। যদি মাবাবা না থাকে তাহলে তো ফাঁদ আরো শক্ত হয়ে যায় । পালাবার পথ নেই।
আরও আছে মনের দুর্বলতা। ভালবাসি স্বামীকে। এত ভালবাসি তবু মন পায়না। এত ভালবাসি তবু খারাপ ব্যবহার করে। দেখো একই মানুষ ঘরে খারাপ ব্যবহার করে আর বাইরে অন্য মেয়েদের সাথে কত সুন্দর ব্যবহার করে। যদি এইসব মেয়েদের কাছে যেয়ে আমি আমার পিঠের শুকিয়ে যাওয়া নির্যাতনের দাগগুলো দেখায় যদি আমার মনের দগদগে ঘাগুলো যা কোনদিন শুখাবে না তা খুলে ধরি তাহলে এইসব মেয়েরা যারা আমার স্বামীকে একজন সাধু আর প্রেমময় পুরুষ হিসাবে জানে তারা আমাকে বিশ্বাস করবেনা। আমার স্বামী সব মেয়েদের সাথে মিথ্যা বলে না সবার সাথে প্রতারনা করেনা। অনেক মেয়েরাই তাকে একজন ভালবাসার দেবতা হিসাবে জানে। আসলে কি তা সত্য?
সারা বিশ্বেই নারীরা নানাভাবে পুরুষ দ্বারা নির্যাতিতা হয়। তবে বিশ্বের অনেক দেশে আইনের দ্বারা এই নির্যাতন বন্ধ করার প্রচেস্টা আর প্রয়োগ আছে। নারীকে শারিরীকভাবে নির্যাতনের কারনে পুরুষের জেল হতে পারে । অনেক পুরুষ তাতে আরো
হিংস্র হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে - এমন ঘটনাও আছে। বিশ্বের যেসব দেশে আইন আছে আর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আছে সেসব দেশে নারী নির্যাতনের হার যে কমেছে তা নয় কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে তালাক, নিরাপদে সরে যাওয়া, এড়িয়ে যাওয়া, গৃহ বদল, ঠীকানা
না দেওয়া, দেশ ত্যাগ অনেকভাবে এই নির্যাতন এড়ানো যায়। এতে সমাজে অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যেমন সন্তানদের বাবা সম্পর্কে ভাল ধারনা মানসিক বিকাশে কিছু দ্বন্দ্বের সৃষ্টি, একাকিত্ব, বিশ্বাসের মৃত্যু ইত্যাদি।
নারী বা পুরুষ - বেঁচে থাকার জন্য মনোবলের প্রয়োজন সব দেশে সব খানে সব সময়। মনোবল বা মানসিক শক্তির উপর শারীরিক সুস্থ্যতা আর সুন্দর দীর্ঘ জীবন নির্ভ্রর করে। সব পুরুষ যে খারাপ বা সব নাড়ি যে নির্যাতিতা ঢালাওভাবে এটা ভাবার
কোন কারন নেই। তবে নির্যাতনের উপস্থিতি আছে ঘরে, সংসারে, সমাজে, দেশে - এই সব নির্যাতনের ধারা, রুপ, রং, বর্ন, আকার, আয়তন, গন্ধ, ইশারা, কারনগুলোকে জানতে হবে। পরিহার করতে হবে। আর নিজের মনোবলকে সুদৃঢ, সুস্থ, সুন্দর আর সাবলীল রাখতে হবে জীবনে ভাল সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। ভাল্ভাবে বাচার জন্য। জীবন খুব ছোট। যত দিন বাঁচি - শান্তিতে বাঁচবো - সুখে থাকবো।
অন্যের কথা বলার আগে প্রথমে নিজের কথা বলা ভাল। আমি একজন নির্যাতিতা নারী। কথাট শুনে অনেক হাসি পাবে সবার । আপনি এত কথা বলেন আপনাকে কে নির্যাতন করবে? প্রশ্নটা তারা করবে যারা কোন কিছুকেই গভীরভাবে ভাবেনা কারন ভেবে তাদের কোন লাভ নেই তাই। আমি যদি নির্যাতিতা না হতাম তাহলে নির্যাতিতা হবার কারন জানতাম না। পুরুষের হীনমত্যতা জানতাম না। পুরুষ কখন প্রতারনা করে বা মিথ্যা বলে বুঝতাম না। পুরুষ কখন সাহায্যের হাত বাড়ায় জানতাম না। পুরুষ শুধু মাত্র নিজের প্রয়োজনেই নারীকে উদ্ধার করার জন্য হাত বাড়ায়। নারী পুরুষের সম্পর্ক ভালবাসার চাইতে একটি পার্টনারসীপ ব্যবসা হিসাবে দেখলে ভাল হবে। একটা লেনদেনের সম্পর্ক। পুরুষ সবার কাছ থেকে সব কিছু যখন পেতে চায় পার্টনারসীপে ফাটল ধরে। তখন এটা একটা কর্পোরেশন হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment