Saturday, March 30, 2013

কেনো গেলে ?

কেনো গেলে?
শুধু শুধু দুঃখ পেলে!
মুঠোভরে রোদ্দুর
ধরে রেখে
শুখিয়ে নিলে অদৃশ্য অশ্রু
... পেছনে ফেলে রেখে
চলে গেলে
অগোছালো স্বপ্ন
কেনো গেলে ?
শুধু শুধু দুঃখ পেলে!
পোকা বিজ বিজ মাঠে
ফসল কি হয় ?
ক্ষুধার্ত পোকারা খেয়ে ফ্যালে
বীজের অন্তর
সব ক্ষুধা মিটাতে হবে এইভাবে
আকাশ থেকে মাটি
বুঝিয়ে দিতে হবে সবার হিসাব
উপচে গেলে নষ্ট হবে
সেখানে যেখানে ভোক্তারা সব মৃত
ক্ষুধাতে ফেলেছে খেয়ে হৃদপিন্ড
তারপর শেয়াল এসে
ভরেছে পেটে শব
কেনো গেলে?
এইভাবে চুপচাপ শরীর থেকে
গন্ধ মুছে দিয়ে
এখন এখানে বাঁঝা মাটি
স্তব্ধ বাতাস
রোদ্দুর নিয়েছে ফিরিয়ে মুখ
অপেক্ষায় অপেক্ষায়
একদিন শব হবো
ক্ষুধা এসে খেয়ে নেবে হৃদপিন্ড
শেয়ালের পেটে রেখে যাবো শব
তাঁদের বৃষ্টাতে ফলবে ফসল
কোন এক ক্ষুধার্তের পেটে খাদ্য যাবার আগেই
লুট হয়ে যাবে গোলার ধান
কেন গেলে ?

তোমার মন

তুমিও জানো আমিও জানি
তুমি মাঝে মাঝে মিথ্যা বলো
আমিও বলেছি মিথ্যা অনেক
আমি তোমাকে ভালবাসিনি কোনদিন
আমি মিথ্যা বলেছিলাম
আমি কারুকে ভালবাসিনি কোনদিন
আমি মিথ্যা বলেছিলাম
জীবন আসলে নিছক ব্যবসায়ের মত
চারিদিকে শুধু লেনদেন
ভালবাসা একটি ভাল বিনোদনের মত
ক্লান্ত দুপুরে লেবুর সরবত
অথবা
ক্ষুধার্ত পেটে মুঠো ভাত নিঙড়ানো ফ্যান
ক্ষমতা আমাকে আকর্ষিত করে
সম্পদ আমাকে লোভী করে
সারাক্ষণ আমি পিছু পিছু হাটি
টাকা টাকা টাকা পাখী
আমি মিথ্যা বলেছিলাম
আমি ভালবাসিনি কারুকে কোনদিন

জেগে উঠি

সেই বস্তা পচা গল্প বলে আর কত ?
এইবারে নতুন কিছু বলো
এইবারে নতুন কিছু ভাবো
দ্যাখো আজকাল টগর ফুলেরা
নতুন সুবাস ছড়ায়
হাস্নাহেনা দিনে ফুটে
চাঁদের সাথে আড়ি করে
সূর্য ডুবে গেলেই আমি জেগে উঠি
বিকল্প এক সূর্যের স্বপ্ন দেখে

বাঁধা আর মিথ্যা

সত্য কাছে এলে
তুমি ভয় পেলে
ভুত দেখে চীৎকার করে উঠলে
তখন স্তুতি সঙ্গীতে
মিথ্যারা এসে উপস্থিত হলে
তুমি শান্তি পেলে
মিথ্যারা শান্তনা দেয়
এগিয়ে যেতে অনুপ্রানিত করে
সত্যরা দমন করে
বাঁধা দেয় এগিয়ে যেতে

নিজেরই শত্রু নিজের

আমার সবচেয়ে বড় শত্রু
আমি নিজেই
আমি শত্রুদের নিজে না চিনে
অন্যের সাথে পরিচিত করি
শত্রুদের জগত বিখ্যাত করে
সেই খ্যাতির নীচে
আমার সমাধির চারিপাশে
শত্রু বন্ধু হাতে হাত
ধরে মিলনের গান ধরে

কোথায় যেন আগুন লেগেছ

কোথায় যেন আগুন লেগেছে
মনে, বনে বা কারু গৃহে
তুমি ঘুমাও এখনো অঘোরে
রাত আর দিনের মাঝখানে
আমি জেগে উঠি
প্রতিদিন খুঁজি
জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে
প্রতিদিন খুঁজি
গন্তব্যে পৌছুবার পথ

আমি প্রহর গুনি মৃত্যুর

আমি প্রহর গুনি
মৃত্যুর
এক দুই তিন করে
অপেক্ষা করি কিছুক্ষন
ধীরে ধীরে এগুতে থাকি কিছুক্ষন
আমি প্রহর গুনি মৃত্যুর
আমার শরীরে বাদ্য বাজে
মৃত্যুর
পাজড়ের চারিপাশে
মৃত্যুর উল্লাসে থেমে থেমে যায়
শ্বাস
এলোমেলো এক স্মৃতি ঝুলে থাকে
চোখের ঝাপসা আয়নাতে
প্রহর গুনি
মৃত্যুর

যদি হতো!!

ভাঁজ করে রেখে দেওয়া
পুরানা পুঁথি
ভুলে গেছো
ঝাড়ামুছা হয়না তেমন
আদ্দিকালের বদ্দি
.শুধু মিলে গেলে
মনে হয়
এই যাঃ এই ছিল এই নেই
তখন খাটালের উপরে
পুরানা তেতুলের ঘ্রানে
বুদ হয়ে থাকে উইপোকা
থ্যাতলানো রশুনের কোয়া
মাছের আশ
শুখনো জলপাই
চোখের নীচে ঝুলে থাকে
না বলা সব কথা
তখন মনে হয়
কই কোথায় ছিল ?
ছিলনা কিছুই কোনকালেই
শুধু আফসোস ছিল
যদি হতো !!

ঘৃনা

বোধ আর নির্বোধের যুদ্ধে নির্বুদ্ধিতা জয়ী হলে
তুমি ভুল বুঝলে আমাকে
চোখে তোমার ছানি আছে
দেখলেনা সবার মুখের আদলে
তোমার মুখ বসে আছে
ঘৃনা দিয়ে তা ঢেকে দিলে
অন্ধকার গভীর থেকে হলো গভীরতর
এখন আর কেউ কারু মুখ দেখিনা
শুধু রক্ত দেখি
সব রক্ত লাল
কিছুতেই আলাদা করতে পারিনা
তোমাতে আমাতে
মত আর মতামতে
এ্যাত সংক্ষিপ্ত জীবনে কত কত কাজ বাকী
এ্যাত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাত দিয়ে
এ্যাত শত লাশ সরাবো কিভাবে?

পাশবিকতা সর্বত্র

এ্যাতদিন লুকিয়ে ছিল
পাশবিকতা
প্রেমে আর প্রেরণাতে
কিছুদিন হলো বাজারে এসেছে
সব চাইতে আধুনিক পণ্য
এই পাশবিকতা
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে
এর ব্যাপক চাহিদা
পুঁজিপতিরা কিনছে পাশবিকতা
খুচরা মূল্যে
ক্রমাগত বাজার যাচাই হচ্ছে
সব চাইতে নির্মম ও নিষ্টুর
বেইমান ও হিংস্র পশুকে
দেওয়া হবে
বিশ্ব খ্যাত
নোবেল শান্তি পুরস্কার
পাশবিকতাতে প্রশিক্ষিত করা হবে
ভ্রুন থেকে ভূমিতে
শিশু থেকে তারুন্যে
তারপর বধ করা হবে
অপরিপূর্ন স্বপ্ন চোখে
মিশে যাবে ধূলিকণাতে
ভূতভবিষ্যৎ না জেনেই
সেই শিশু
পাশবিকতা পরিবর্তিত হবে
আবর্তিত হবে
ক্রমাগত নতুন নামে রুপে গন্ধে
গ্রাস করে নেবে সমগ্র জগত

গনহত্যা ২০১৩

পাখীগুলো সব পালিয়েছে
কাকেরা বিষন্ন
সবুজ পাতারা মনমরা
শূন্য ডালগুলো নড়ে উঠে আতংকে
গুলির শব্দে
বাংলাদেশে এখন গনহত্যা চলছে
সুশীল সমাজের অনুরোধে
লেখা হয়েছে সাইনবোর্ড
কুকুর আর ইন্ডিয়ানদের প্রবেশ নিষেধ
মুসলমানরা সন্ত্রাসী
তুই রাজাকার
ফি নারে জাহান্নামা খালেদিনা ফি হা
এইভাবে বিভিন্ন সাইনবোর্ডের নীচে
দাড় করিয়ে গুলি করা হচ্ছে
এইভাবে ফিরে এসেছে একাত্তর
প্রিয়জনেরা ফিরে আসেনি
যাদের জন্য অপেক্ষা করেছি
একচল্লিশ বছর
একাত্তর এসেছে নিয়ে যেতে
তাদের
যারা এসেছে আরও পরে
অনেক পরে
রাজপথে গুলির শব্দ
দরোজায় বুটের শব্দ
গলিতে মৃতদেহ
একাত্তর এসেছে
আরও একবার
ফাল্গুন আনমনা
চৈত্র পথ হারিয়েছে
জবাই আর ফাঁসী
তালিকাতে স্বাক্ষর করে
শিশুর সরল হাসিতে
এখন গনহত্যা চলছে বাংলাদেশে।

ভালবাসেনি সে কোনদিন

কিছুই ছিলনা
শুধু কিছু শুকনো পাতা
কিছুই ছিলনা
ছাইপাশ কয়লা দিয়ে লেখা নাম
সেখানে কিছু সময় ছিল
হিংস্র এক দমকা বাতাসে
মিশিয়ে দিলো বালুর ঘর
আবার বালুতে মুখ থুবরে
মিশে গেল সব প্রলাপ
ঢেউয়ের দোলায় দোলায় হারিয়ে গেল
পানকৌড়ি অন্য কোথাও
আমি দেখিনি আর তাকে
এমন কি মিথ্যা করেও
ভালবাসেনি সে কোনদিন

ভুল

হেটেছি অনেক দিন
এই পথে
তুমি বলো অন্ধকার
সেই পথে
ভাল করে দ্যাখো
কালশিটে
হাটুতে হেটেছি
সেই পথে
আজ যেখানে তুমি
আছো মুখ থুবড়ে
ভাল করে দ্যাখো
আমিও আছি
ছিলাম
থাকবো চিরদিন
ভুলে
ফেলে এসেছি প্রান
শুধু শরীর এনেছি
সাথে করে

মোড়কের নীচে অপরিবর্তিত

কতকাল হলো পরিচিত উঠনে পা রাখিনি
আমার শৈশবের নদীনালার উপরে দালানকোঠা
হারিয়ে যাবার সখের বশে
হারিয়ে ফেলেছি কৈশরের বর্ষাতে হাটুজলে তেতোপুটি
এখনো অভিমান করি
চলে যাবো সব ছেড়ে এই বলে
যখন সবাই চলে গেছে আমারেই ছেড়ে
যৌবনও চলে গেছে
শত কোটি বছর অপেক্ষায় রেখে
শর্তহীন প্রেমিকের
হাতের সব রেখা স্পষ্ট পড়েছি
কোথাও কোন ভুল নেই
বদলেছে মোড়ক শুধু
নীচে সেই পুরাতন কর্দমাক্ত কঙ্কাল রেখেছে ঢেকে
পেচকের চোখকে ধোঁকা দেবে বলে

বিষন্নতা ভালবাসিনা

আকাশ বিষন্ন হয় হোক
ভালবাসিনা বিষন্নতা
হাসিতে ধরে রাখবো রোদ্দুর
এক বুক ঘৃনা নিয়ে বসে ছিল চুপচাপ
উগড়ে দিলে বিষন্ন হলো আকাশ
ঘুমোট হলে
বৃষ্টি হবে
বৃষ্টি হয়ে
ধুয়ে যাবে ক্লেদাক্ত মন
শুধু ঘৃনারা এসে বার বার স্তূপীকৃত হয়
চুপচাপ অপেক্ষা করে
সুযোগের

ঘৃনা জনপ্রিয়

সব ভাল যারা শেষ ভাল।
শেষ আর হলো কৈ !
চলতে থাকলো
ডামাডোল
আগুন
ঘৃনা
এক সমুদ্র
ভরা ভরা ঘৃনা
নানা মোড়কে বিক্রি হচ্ছে
নানা নামে নানা দামে
সুপারমার্কেটে
জনপ্রিয় ঘৃনা
ঘৃনিতরা বিক্রি করে ঘৃনা
রক্তে রক্তে ছেয়ে যায়
ক্যান্সার
ঘৃনারা ঘাটি গড়ে মগজে
পঙ্গু হয়ে যায় চিন্তা
ঘৃনা ছাড়া আর কিছু নেই
ভাববার

খাদক

মগজগুলো এখন ব্যস্ত
নর্দমা থেকে স্বর্ন অন্বেষণে
কেউ কেউ পেয়ে গেছে
অন্যরা লুটে নিয়েছে
কেউ কেউ হারিয়ে ফেলেছে
নর্দমার পরিত্যাক্ত আবর্জনা এখন উত্তাল
পরিত্যাক্ত আবর্জনা এখন দুর্মূল্য
সবাই ভাগাড়ে সামনে দাঁড়িয়ে
লাইন দিয়ে
দেহ খাবে মৃত
দোকানে কোন খাদ্য নেই
ঘরের মেয়েরা লাক্স সুন্দরীর পোষাকে
পসার সাজিয়েছে দেহের
দাঁড়িয়েছে ভাগাড়ে এসে
কেউ দেহ খায়
কেউ খায় মৃতদেহ
ঘৃনার দেশে এখন শবের উৎযাপন
সবাই যার যার পণ্য এনে হাজির
বেচাকেনা শেষে
খেয়েদেয়ে ঘুমাবে
নিস্তব্ধ কবর ঘরে

নিরুপায় আক্রোশ

আকাশ তো কেউ ছুঁতে পারেনা
পালিয়ে বেড়ায় সর্বক্ষন
বৃষ্টি থেকে
রোদ থেকে
নদী তো কেউ হতে পারেনা
ভেসে যায় অকারনে
নিরুপায় সময়ের স্রোতমুখে
আগুনও কেউ হতে পারেনা
জ্বলে যায় নিজেই
অপূর্ণতার অন্তর্দাহে
শো শো বাতাস বয়ে যায়
পারেনা করতে গতিরোধ
বিশৃংখল করে ফ্যালে
সাজানো মগজ

আমি ছিলাম না সেখানে

হাতের রেখাগুলো পড়ো
কোথাও লেখা নেই আমার নাম।
ফিরে যাও
সেই পথে
সেই সবুজ ঘাসে
আমি ছিলাম না কোথাও
ভোরে দেখা স্বপ্নের মত
কুয়াশাতে কোন এক মানুষের অবয়ব
হতে পারে এসে চলে গেছে
ডেকে ডেকে
আমি ছিলাম না সেখানে
কোনকালে
চৌরাস্তার উড়ে যাওয়া হাওয়াকে সুধাও
জানেনা সে আমাকে
নোনা গন্ধে লেগে থাকা এঁটো বাসনে
বালিশের কোনে
সুটকেসের ছোট্র চাবিতে
কোথাও কোন চিহ্ন নেই
এমাথা থেকে ওমাথা
ট্রেনগুলো চক্কর কাটে রাতদিন
তেতিয়ে যায় ইঞ্জিন
ঝিমিয়ে যায় রেললাইন
মাঝরাতে কেঁদে উঠে কুকুর
কেউ জানেনি আমাকে কোনদিন

বিদায়

চৈত্রের কাট ফাটা রোদ্দুরে
একটু ছায়ার জন্য উড়াউড়ি
গাছকাটা উলঙ্গ শহরে
উত্তরে চলে যাবে কাকেরা
দলবেঁধে উপত্যকার নীচে নীচে
সরু সরু দেবদারু
চকচকে জলাধারে
পাথর আর কাঁচের মন থেকে
মুছে দিয়ে শব্দ
ধুয়ে দিয়ে সময়
সড়কে রক্ত শুধু
অবিশ্বাসী চোখ
অপরিচিত লাশ
দ্বিপদ পশুরা উল্লাস করে
লাশ থেকে খুবলে নিয়ে বিবেক
পাথর ঘষে আগুন জ্বালে
ঝলসানো বিবেক চিবিয়ে ফ্যালে
নির্বিকার
কাকেরা উড়ে যায়
মানুষ না পেয়ে
গাছ কাঁটা উলঙ্গ শহর থেকে

যুদ্ধ

সরল আর গরল
লেগে থাকে যুদ্ধ রাতদিন
দুজনেই দুজনকে মনে করে বেঠিক
কারুকে ঠিক হতে হবে
কারুকে ভুল
সবাই যার যার জাগাতে ঠিক ঠাক
যুদ্ধ চলে যুগে যুগে
সবাই মরে যায়
যুদ্ধরা বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে

লেনদেন

কিভাবে জানবে
কে শত্রু কে মিত্র
স্পর্শ করতে হলে
কাছে আসতে হবে
বন্ধু হতে হবে
পাওয়া হয়ে গেলে
চলে যেতে হবে
ভাল আর খারাপ
সুখ আর দুঃখ
জরা আর ব্যাধি
সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি
লেনদেন শেষে
ভেঙ্গে দিতে হবে
শ্ত্রু বা বন্ধু

আবর্তমান

করুণা করতে চাও
পেতে ভালবাসোনা
কার কার কাছে
আলাদীনের চেরাগ আছে ?
আমারটা হারিয়ে গেছে
বুকে ঘষার আগেই
উষ্ণতা ছিলনা
শব্দ ছিল ধুঁক ধুঁক
বন্দী জন্তুর মত
দম ফুরিয়ে গেলে
অতলে তলিয়ে
নিভে গেছে চেরাগ
গলে গেছে মাটি
ঘুরছে কুমারের চাকিতে
নতুন এক রুপ নেবে বলে

মৃত্যু

ভিন্ন ভিন্ন মন
অভিন্ন মানুষ
দাবী করে অধিকার
মৃত্যুর
মগজে বন্দুকের নল
ঠেকিয়ে জিম্মি রাখে
জীবনের স্পন্দন
সকালে ভাতের থালাতে
লেখা ছিলনা মৃত্যুর কথা
পানির গ্লাসে দেখা
শেষ প্রতিবিম্বে
মনে হয়নি
আজ ছেড়ে যেতে হবে
শহর নয়
মা কে নয়
রোদে জাবর কাটা বাছুরের
পিঠে রোদ দেখে
মনে হয়নি
ছেড়ে যেতে হবে
জীবন
মাথার খুলি থেকে
রক্ত গড়িয়ে নামে
শিরদাঁড়া বেয়ে পায়ে
কেউ একবারও বলেনি
আজই
ছেড়ে যেতে হবে
জীবন

ভালবাসা - এক গোছা নোট

উঁচু এক স্রোতে
এক উদাস পানকৌড়ি
অদৃশ্য হলো
ভালবাসা না পেয়ে
লাবনীকে বলো
ইট কাঠ পাথরের মত
ভালবাসা এক গোছা নোট
ভালবাসা খেলা করা
বয়স আর বসন্তের সন্ধিক্ষন
লাবনীকে বলো
থাক না হয়
এই ভালবাসা সংক্রামিত হয়
এক হৃদয় থেকে অন্য হৃদয়
লাবনীকে বলো
ভালবাসা অপেক্ষা
হাতে নিয়ে প্লাস্টিকের ফুল

অসমাপ্ত

আজও লেখা হয়নি সেই কবিতা
কালশিটে ফেলে দিলে কবজিতে
হাসতে দেখলে ইর্ষান্বিত হয়ে যাও
হাসি কেড়ে নিতে এসে
হতাশ, বিফল, ক্রোধান্বিত তুমি
নতুন পথে নতুন আগুন
নতুন টাকার গন্ধ নতুন
লাভ ক্ষতির হিসাব কষে দেখা গেল
হাসির চাইতে কান্না ভাল
সুখের চাইতে দুঃখ ভাল
... টেকসই আর সম্ভাবনাময়
নতুন কিছু শুরু করতে হলে
দুঃখ দিয়ে আঘাত করে
কান্না দিয়ে নরম হলে
ক্রোধ দিয়ে উপরে ফেলতে হবে
শিকড়
তারপর
ক্রোধ ও দাবানলের পথ উন্মুক্ত হলে
ধবংস আর সৃষ্টি
পাশাপাশি হাসবে দিবানিশি