এক ---
যে মার খায়
আর
যে মারে
আসলে ওরা দুজনেই মরে
একই মৃত্যু
কত যুগ ধরে
বাচার আকুতি দেখে চোখে
সে প্রতিদিন মরে
সে প্রতিদিন বাচে
আবার মারবে বলে
নিজেকে ইশ্বর ভাবে
জীবন থেকে মৃত্যুতে পৌঁছুতে যেয়ে
দুই ---
আজ সকালবেলাতে সাঝ
আজ তুষার বৃষ্টি অনাসৃষ্টি
আজ লুকিয়ে গেছে সূর্যি
আজ কেউ নেই কোথাও
অপরিবর্তিত মহাশূন্য
যে মার খায়
আর
যে মারে
আসলে ওরা দুজনেই মরে
একই মৃত্যু
কত যুগ ধরে
বাচার আকুতি দেখে চোখে
সে প্রতিদিন মরে
সে প্রতিদিন বাচে
আবার মারবে বলে
নিজেকে ইশ্বর ভাবে
জীবন থেকে মৃত্যুতে পৌঁছুতে যেয়ে
দুই ---
তুমি কি জানতে?
তখন ছিল আমার যাবার সময়
পারিনি যেতে
বুনো কাটা লতা বেধেছিল পা'য়ে
তুমি কি জানতে?
অক্টোপাসের মত চেপে ধরে
শুষেছে রক্ত নি:শব্দে
তুমি কি জানতে?
তখন ছিল আমার যাবার সময়
পারিনি যেতে
বুনো কাটা লতা বেধেছিল পা'য়ে
তুমি কি জানতে?
অক্টোপাসের মত চেপে ধরে
শুষেছে রক্ত নি:শব্দে
তুমি কি জানতে?
বাতাসের ভাজে ভাজে
লুকিয়ে ছিল
ফিসফিস কান্নার শব্দ
তুমি কি জানতে?
লুকিয়ে ছিল
ফিসফিস কান্নার শব্দ
তুমি কি জানতে?
তিন --
রুপোর আধুলির মত
চকচকে চাঁদ
কুতসিত কদাকার
পাথরের টুকরো
অন্যের আলোতে ঝলকায়
উঁচু উঁচু দালানের মাঝখানে
নির্লজ্ব!
রুপোর আধুলির মত
চকচকে চাঁদ
কুতসিত কদাকার
পাথরের টুকরো
অন্যের আলোতে ঝলকায়
উঁচু উঁচু দালানের মাঝখানে
নির্লজ্ব!
চার --
ধীরেধীরে বন্ধ হলো কপাট
নিঝুম হলো রাত
বেদনারা বিছার মত একেবেকে
জড়িয়ে নিলো মন
সামনে পরাজয়
পেছনে দেওয়াল
চারিদিকে নিকষ কালো আধার
লাশেরা অপেক্ষা করে
সারিবদ্ধ
আত্মারা চলে যায় যার যার গন্তব্যে
এখানে সব কাজ শেষ
দেহ গলে, পচে, মাটিতে মেশে
পরিবর্তিত হতে থাকে হাজার বছর ধরে
পাঁচ --
ছায়া হয়ে থাকবো শুধু
মুছে দেবো পদচিহ্ন
কেউ জানবেনা
থাকবো সারাক্ষণ
ছায়া হয়ে
রোদ হয়ে, বৃষ্টি হয়ে, শরতের মেঘ হয়ে
অদৃশ্য, অফুরন্ত, শব্দে সাজাবো দেবদারু পাতা
চোখ খুললেই ধুয়ে যাবে শব্দেরা
ভেসে যাবে কাগজের নৌকা
ডূবে যাবে মন
ভৈরবী সুরে
রেশ থেকে যাবে আমার আসার
শুধু তুমি জানবে
আর কেউ জানবেনা
আমি এসেছিলাম
শুধু তুমি দেখবে
কলকে পেড়ে শাড়ির আঁচলের
ধুলো দেখে দেখে
খুজে নেবে পথ
আমার আসার
ছয় --
কি করি বলোতো
ভেবে ভেবে কিছু বলতে গেলে
বেশি বলা হয়ে যায়
না ভেবে কিছু বললেই
সত্যগুলো সব বলা হয়ে যায়
কি করি বলোতো
শুধু যা বলতে চাই
তা আর বলা হয়না
এই যেমন ধরো
কিছুদিন আগে পাতাঝরার দিন এলো
আমি ভাবলাম তুমি যদি থাকতে
বলতাম – এভাবে পাতার উপর দিয়ে হেটোনা
ওরা ব্যাথা পাবে
তুমি বলতে – ওরা তো মরে গেছে
আমি বলতাম – কোন কিন্তু মরেনা কোন দিন
শুধু রুপ বদল করে
সাত ---
ধীরেধীরে বন্ধ হলো কপাট
নিঝুম হলো রাত
বেদনারা বিছার মত একেবেকে
জড়িয়ে নিলো মন
সামনে পরাজয়
পেছনে দেওয়াল
চারিদিকে নিকষ কালো আধার
লাশেরা অপেক্ষা করে
সারিবদ্ধ
আত্মারা চলে যায় যার যার গন্তব্যে
এখানে সব কাজ শেষ
দেহ গলে, পচে, মাটিতে মেশে
পরিবর্তিত হতে থাকে হাজার বছর ধরে
পাঁচ --
ছায়া হয়ে থাকবো শুধু
মুছে দেবো পদচিহ্ন
কেউ জানবেনা
থাকবো সারাক্ষণ
ছায়া হয়ে
রোদ হয়ে, বৃষ্টি হয়ে, শরতের মেঘ হয়ে
অদৃশ্য, অফুরন্ত, শব্দে সাজাবো দেবদারু পাতা
চোখ খুললেই ধুয়ে যাবে শব্দেরা
ভেসে যাবে কাগজের নৌকা
ডূবে যাবে মন
ভৈরবী সুরে
রেশ থেকে যাবে আমার আসার
শুধু তুমি জানবে
আর কেউ জানবেনা
আমি এসেছিলাম
শুধু তুমি দেখবে
কলকে পেড়ে শাড়ির আঁচলের
ধুলো দেখে দেখে
খুজে নেবে পথ
আমার আসার
ছয় --
কি করি বলোতো
ভেবে ভেবে কিছু বলতে গেলে
বেশি বলা হয়ে যায়
না ভেবে কিছু বললেই
সত্যগুলো সব বলা হয়ে যায়
কি করি বলোতো
শুধু যা বলতে চাই
তা আর বলা হয়না
এই যেমন ধরো
কিছুদিন আগে পাতাঝরার দিন এলো
আমি ভাবলাম তুমি যদি থাকতে
বলতাম – এভাবে পাতার উপর দিয়ে হেটোনা
ওরা ব্যাথা পাবে
তুমি বলতে – ওরা তো মরে গেছে
আমি বলতাম – কোন কিন্তু মরেনা কোন দিন
শুধু রুপ বদল করে
সাত ---
আজ সকালবেলাতে সাঝ
আজ তুষার বৃষ্টি অনাসৃষ্টি
আজ লুকিয়ে গেছে সূর্যি
আজ কেউ নেই কোথাও
অপরিবর্তিত মহাশূন্য
No comments:
Post a Comment