Sunday, September 24, 2017

আঁধার

আমি সূর্যকে ভয় করি
আলোতে স্পষ্ট দেখা যায়
অদ্যবধি যা কিছু ঘটে গেছে
এই হাটে
ভাঙ্গা হাড়ি, চুরমার কাঁচ
হতাশা, ক্রোধ, অমীমাংসিত বোধ
উচ্ছিষ্টের মত ছুড়ে ফেলে দেওয়া মন
কালাবাজারে বিক্রি হয়
মান সন্মান আপনজন 

আমি সূর্যকে ভয় করি
আঁধারের অপেক্ষা করি
চাঁদের মিষ্টি আলোতে
গল্প বলতে পারি
যা কিছু জ্বলে গেছে
সূর্যের আগুনে

আঁধারের অপেক্ষা করি

আলোতে হারিয়ে যাবার বড্ড ভয়
আঁধারে নিজেকে খুঁজে পাই

বন্ধ খাম

আকাশ এমন
ছু'তে গেলেই পালিয়ে যায়
গুটি গুটি এগুলেই
ধরা দেবে দেবে এমন এক ভাব
মনের খাটালে লুকানো
আলসে কথার মত তবু
অধরা রয়ে যায় সব
আকাশের নীরবতা বুঝি
সব দেখে শুনে
বোবা হয়ে থাকে
তবু অকারণ নাবলা কথা খুঁজি
আমিও কি আজ আকাশ হবো?
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেখবো শুধু
পড়বো পাপড়িতে লেখা কথা
বুঝবো শুধু
বলবোনা কোনকিছু
মুখ বাধা বোবা পশুর মত
অগত্যা
এলোমেলো ভাবনার খামে মুড়ে
পার্সেল করে দেবো
মান অভিমান
আকাশের কাছে
ছু'তে এলেই পালিয়ে যাবো
আকাশের মত করে

থেতলানো হৃদয়


অবিনাশী বস্তু রুপ বদলায়
ঘষেমেজে সেজেগুজে
ঘুমড়ে মরে
চলে যেতে চায় ভেদ করে কাচ
ঠেকে যায় কপাল
থেতলানো হৃদপিন্ড হাতে
ফিরে আসে শূন্য হাতে
ফলাফল
নিত্য করি
যোগ বিয়োগ গুন ভাগ

অনিশ্চিত তানজেনারাং


যা মানোনা বা মানো
ভাবনার প্রতিবিম্ব ভাসে তা থৈ থৈ
সব কথা উজাড় হয়ে
হাতপা ছেড়ে শুয়ে থাকে
চোখের পাপড়িতে
হাতের তালুতে মৃত রেখা
ঘষে ঘষে ছাল উঠে
পৌষের রোদ্দুরে কপাল তেতিয়ে নেয়
গেড়ো খোলার আগে
কিছুই থাকে না লেখা
মরাপচা শুক্নো চামড়া
জাদুঘর বানিয়ে মাছি তাড়াই বসে শুয়ে

১৭ই জুলাই, ২০১৭



সেটা যেমন সত্য
তেমনি ওরা এখন ধূলোতে লুটোপুটি খায়
সেটাও সত্য
কিছুক্ষণ পরে হাওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যাবে
সেটাও সত্য
মিথ্যা যা তা হলো
যা কিছু আমরা বলি লৌকিকতা করে
মিথ্যা যা তা হলো
যা কিছু আমরা বলি
অসত্য জেনেও
বলতে থাকি মন রাখার জন্য
সেই মন আয়নার মত
দেখে ফ্যালে সত্য, মিথ্যা, তখন
কাঠমল্লিকারা মরে পরে থাকে
মুখ থুবড়ে

বিস্মিত হয়েছি


এক বিন্দু জল নিমেষে শুষে নেয়
বহু যুগের ভালবাসাহীন বন্ধাত্বে
জন্মেছে নিস্টুর আর বিষাক্ত ক্যাক্টাস
আমি বিস্মিত হয়েছি
আমি ক্লান্ত হইনি
খোলসের নীচে হৃদয় নেই
খোলসের নীচে হাসি নেই
খোলসের নীচে কান্না নেই
যে কান্না বুকের ভেতর জমে
আবেগ আর ভালবাসা ঘনীভূত হলে
খোলসের নীচে ধুধু এক অসহায়
পোকালাগা অসুস্থ বৃক্ষ
তোমার ভেতর হাটতে হাটতে
ক্লান্ত হইনি আমি
ব্যাথা পেয়েছি শুধু

ভাইরাস

আমি আমার হৃদয় মেলে ধরে
বল্লাম, দেখো, এখানে
ফুলের পাশে কত বিষাক্ত ভাইরাস
ঝরণার পাশে কত আবর্জনা
আমি প্রানপণ শ্বাস নিতে চাই সুবাতাস
বল্লাম, শোনো, বহুযুগের কান্না, দু:খ, বিষন্নতা
পরিশোধিত করে নির্মল হাসি
তোমাকে দিলাম
আমি আমার হৃদয় মেলে ধরে
বল্লাম, অবিশ্বাসগুলো ফেলে দাও
এখনো পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারিপাশে
অনাদিকাল ধরে এখনো মানুষ হাটে
অমানুষ আর বিবেকহীন অদ্ভুত প্রানীভরা সড়কে
তুমি ওদের সাথে দাঁড়িয়ে রইলে অনড়
যেমন ছিলে বহুযুগ ধরে

আর আসিনি তারপর

তারপর আর আমি আসিনি
সেখানে
যেখানে একদিন অপেক্ষা
করেছি
সহজ সময়ের
মুঠিভরা অবকাশ খুলে দিয়েছি
ওরা আর কেউ নেই কোত্থাও
সহজ, সরল, নির্মল
আর কিছু নেই
যেখানে একদিন অপেক্ষা করেছি
এখন একাকী
আমি ফিরে যাচ্ছি
সেখানে
যেখানে অপেক্ষা বলে কিছু নেই

পুনশ্চ

তোমার সুখের জন্য 
আমি সব করতে পারি
চুপ হয়ে যেতে পারি
দূর হয়ে যেতে পারি
মূক হয়ে যেতে পারি
তোমার সুখের জন্য
আমি সারারাত জাগতে পারি
সারাদিন ভিজতে পারি
কান্নাভরা চোখে হাসতে পারি
সব অভিমান বুকে রেখে
রক্ত বমি করতে পারি
তোমার সুখের জন্য
আমি সব আঘাত সইতে পারি
নদীর মত
মাটির মত
নরম ঘাসের মত
নাম গোত্রহীন পাখীর মত
উড়ে যেতে পারি
উবে যেতে পারি
ভেংগে যেতে পারি
তোমার সুখের জন্য
তোমার উদাসীনতার জন্য
পরিকল্পিত ঝকে পা রেখে
ভাংগা কাচের মতো
টুকরো হয়ে যেতে পারি
তোমার জন্য হারিয়ে যেতে পারি
অনেক কিছুই পারি
যা তুমি পারোনা
যা আর কেউ পারেনা
আমি জানি এইসব কোন কিছুই
সুখী করবেনা তোমায়
তোমার প্রশ্নের উত্তর আমি নই
তাই

আর কোনদিন বিশ্বাস করবোনা আমাকে

জানো, একবার আমি
রাজহাসের মত শূন্যে উড়তে চেয়েছিলাম 
শুধু পালক দিয়ে 
তোমার ঘুম ভাংগাতে
জানো, একবার আমি
নদী হয়ে প্রবাহিত হতে চেয়েছিলাম
শুধু জলে তোমায়
ভাসিয়ে রাখতে
জানো, তখন আমার মনে হতো
ডিম থেকে বের হওয়া নরম চামড়াতে ঘেরা
একদলা নিষ্পাপ শিশু তুমি
জানো, আমার বুকের উষ্ণতা দিয়ে
তোমাকে সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে
বাঁচাতে চেয়ে দেখলাম
আমার চারিপাশে উঁচু উঁচু দেওয়াল
হিংস্র, পাশবিক, নিস্টুর মুখে বিদ্রুপের হাসি
ওরা বলছে
আমাকে আটকেছে ফাদে
নির্মমতার
ওরা বলছে
এটাই আমার শাস্তি নির্বুদ্ধিতার
জানো, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি
আর কোন দিন আমাকে বিশ্বাস করবোনা বলে

ঠিকানা ঠিক আছে

তোমার কাছে যেয়ে জানতে পারলাম
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ ছিলনা
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ না থাকাতে
আমার বলা কথারা কোনদিন পৌছেনি তোমার কানে
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ না থাকাতে
এতদিনে আমার বলা কথারা সব ফিরে এসেছে আমার কাছে
নিজেকে নিজে ছুঁয়ে দেখি
নিজেকে নিজে বিশ্বাস করতে পারিনা
এত ভুল আমি কিভাবে করতে পারি?
তোমার দেহে তুমি নেই
তোমার মনের ভেতর তুমি নেই
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ ছিলনা
তুমি বলে আসলে কেউ ছিলনা কোনকালে
সব কথা, সব ভাবনা, আমার কল্পনা ছিল
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ ছিলনা
এখন আমার বুকের ভেতর আছড়ে পড়ছে কথারা
সেই সাগরের ঢেউয়ে
ছুঁড়ে দেওয়া শখের কাঁকন
ধুয়ে মুছে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল কাল, আজ আর
আগামীকাল।
তোমার কাছে যেয়ে জানতে পারলাম
তোমার ঠিকানাতে তুমি বলে কেউ ছিলনা

তুমি কি সত্য বলেছিলে ?

দেখো তাকিয়ে ডানেবায়ে
নিয়ে এসো কাছে
সময়
মেলে ধরো
স্বপ্ন
তারপর প্রশ্ন করো নিজেকে
তুমি কি সত্য বলেছিলে?
বলোনি
সব চাইতে আপন তোমার অন্তর
তাকে প্রবঞ্চনা করে
কি পেলে?
স্বপ্নে স্বপ্নে লুকিয়ে থেকে
লুকাতে পারোনি কিছুই
দাঁড়াতে হয়েছে
মুখোমুখি নিজের
জবাবদিহি চেয়েছে
তুমি কি সত্য বলেছিলে?

অবশ অবশ লাশ

আমার লাশের হাতটা ধরো
তারপর কনুই অবধি
চামড়া ছিলে ফ্যালো
খামচে বের করে ফেলো সময়
আমার আংগুলে ঝুলে আছে 
কবিতা, খুশী, আলুথালু ইচ্ছাগুলো
জানি আমাকে নয়
আমার অকৃত্রিম খুশীগুলো চাও তুমি
জানি আমার সাথে নয়
আমার সুখগুলো দুহাত ভরে নিয়ে
চলে যেতে চাও সেই খোলা মাঠে
যেখানে আকাশ ঝোলে বরফি কাটা মেঘে
স্বপ্ন থাকে মিথ্যায় মোড়া জল্পনাতে
জানি চাওনা তুমি আমাকে
আমার হাসিটুকু চাও
চোখে একে ধোকা দেবে তাকে
যার জন্ম হয়েছে গোলক ধাধাই
স্তুপিকৃত করে সব সাজিয়ে রেখেছি
এখানে
আমার লাশের হাতটা ধরো
সুখগুলো চিনতে পারবেনা জানি
ভুল করে ভুল আর দু:খ নিয়ে গেলে
শেষে আটকে যাবে আরো হাজার বছর
তেপান্তরের মাঠে
চামড়া ছিলে ফেলো
সেখানে থমকে আছে
থোকা থোকা আনন্দ, আশা, ভালবাসা
যা সম্পুর্ণ অপরিচিত তোমার কাছে
লাশের হাতটা ধরো

একদিন এক স্বপ্ন

আমার সাথে তোমার
দেখা হবে যখন
তখন সাগর থাকবে
জানালায়
আর 
চোখে সৈকত
মাঝে উষ্ণতা আর কেউ না
না ইন্টারনেট
না ওয়াইফাই
না মোবাইল
না ক্যামেরা
আমার সাথে তোমার
দেখা হবে যখন
না দেনাপাওনা
না স্বার্থের লেনদেন
না উপহার বিনিময়
না বাণিজ্যিক কাগজ
না প্লাস্টিক
কিছু থাকবেনা
আমার সাথে তোমার
দেখা হবে যখন
পেছনে ফেলে এসো
না পাওয়ার বেদনা
উপেক্ষা,ঘৃনা, অবহেলা, মিথ্যাচার, অভিনয়,
অব্যক্ত যাতনা, অপমান, আড়চোখে চেয়ে চেয়ে উপভোগ,
ক্ষোভ, চিৎকার, আক্রোশ, মুষ্টিবদ্ধ হাত,
 আঘাত করার বাসনা, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ,
উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে
চাপিয়ে দিয়ে পরিতৃপ্তি লাভের নির্মতা,
 অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, প্রেম, বাণিজ্য,
দেহ আর টাকার মোহ
সব সব কিছু পেছনে ফেলে এসো
তখন
তোমার সাথে আমার
দেখা হবে যখন
ওসব পথ দিয়ে হেটেছি বেশ কতকাল
আক্রোশ, আস্ফালন, দেখেছি
দুর্বল মন
কাপুরুষতা, ফাকা পাতিলের আহাজারি
হাহাকার
চাইনা সেসব কিছু আর
যখন দেখা হবে
তোমার সাথে আমার
সব পথ সব গল্প সব ইতিহাস ভুলে
শুধু আমার সাথে থেকো
সহস্র বছর ধরে একবার
যখন দেখা হবে
আমার সাথে তোমার

অদৃশ্য দেওয়াল

এতদিন দেখিনি
আজ দেখতে পেলাম
তোমার আমার মাঝে একটা দেওয়াল
দেওয়ালটা আসলে ছিল অনাদিকাল
কেউ জানতাম না
দেওয়ালের কারুকাজ দেখ মনে হয়
বহু বছরের সকাল আর দুপুরে গড়ায়নি
তোমার আমার মাঝে
তাই তুমি আমাকে বুঝতে পারোনি
খুঁজতে যাওনি
তোমার সেই সত্য না বলার অভ্যাস
হারিয়ে ফেলার ভয়
সত্যগুলোকে তুমি রেখে দিয়েছিলে পাজড়ের খাঁজে
সুরকি দিয়ে গেঁথে
আর মিথ্যাগুলোকে বুকে নিয়ে হেটে এলে
আমি খোলা চোখে দেখলাম কুৎসিত মিথ্যাগুলো
তোমাকে জড়িয়ে ধরে
চুমা খাচ্ছে ঠোটে
এতদিন দেখিনি
তখন সত্যরা বন্দী বুকের পাজড়ের ঠিক নীচে
সুরকীতে গাঁথা
কস্টে নীল
কুৎসিত মিথ্যারা হাটে তোমার বুকের উপরে
তুমি মেকী সুখে বিভোর
সবাইকে ডেকে দেখাও তোমার ভেল্কিবাজি
ভেতর ফাঁকা চির দুখী
সুখেরা পালিয়েছে নগর ছেড়ে সেই কবে
তুমি শুধু খেলা করো মিথ্যা নিয়ে
পাজড়ের নীচে সত্য কে মেরে
এতদিন দেখিনি
সেই দেওয়াল তোমার আমার মাঝে

ধোঁকা

ডাহুক ডাকা সেই দুপুরে
মনে আছে তোমার?
আমি কেমন বেকে বসেছিলাম
সূর্য ধরবো বলে
আসলে আমি আশা করেছিলাম
তুমি বলবে
সূর্য তো তুচ্ছ আমি সাগর সেচে কাকন
খুঁজে এনে দেবো
হারিয়ে গেছিল এক প্রেমহীন সময়ে
জানো সুহৃদ!
আমি কত যুগ অপেক্ষা করেছি শোনার?
তুমি বলবে
আমি শুনবো আর মৃত্যু এসে হাত ধরবে আমার
তুমি বলবে
এই দ্যাখো খুঁজে এনেছি কৈশর
সাথে সেই কাকন - সাগর সেচা
জানো সুহৃদ!!
আমি শত যুগ অপেক্ষা করেছি
শোনার
পাবার
ফিরে আসার
জানো সুহৃদ
কারা যেন খেয়ে ফেলেছে কাকন
খেয়ে ফেলেছে হৃদপিন্ড
সমুদ্র সেচে
তারপর লাশ ভেসে ভেসে একদিন
গলে পচে মিশে গেছে নোনা জলে
ডাহুক ডাকা সেই দুপুরে
ফিরে আসেনি কৈশর
কাকন পড়ে

লুকানো

চোখের জল গড়িয়ে
নেমে যায়
সাগরের জল কমে যায়
শুধু কি সাগর তোমায় টানে? 
আরো অনেক কিছু টানে
শুধু বাধ সাধে কোলাহল
সমাজ সংস্কার
তবু কি তুমি পারতে আসতে
দীর্ঘ সময়ের দাবানল মাড়িয়ে
যেতোনা জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে?
কার কাছে গেলে পেতে সেই বিসুদ্ধ ছাই?
যা করবে তোমায় প্রেমময়
স্বাভাবিক
আটপৌরে মানুষ
মিথ্যাকে ঝেড়েঝুড়ে ফিরে পাবে
শেষ ট্রেন
স্বাভাবিক স্বচ্ছ সুন্দর সকালে
পৌছুবে গন্তব্যে
সেখানে যেখানে অপেক্ষা করে
সীমাহীন সাগর, প্রেম, আনন্দ
স্বপ্নহীন স্বাভাবিক জীবন!!
শুধু কি সাগর তোমারে টানে?

পাথর সরিয়ে দেখলাম

পাথর সরিয়ে দেখলাম
মস্ত বড় ক্ষত নীল লাল আভা
শ্বাস নিতে চেষ্টা করলাম
তখন রক্তাক্ত হলো
পাজড়
পাথর সরিয়ে দেখলাম
দু:খগুলো সবাই সমবেত ও অপেক্ষারত
জিজ্ঞেস করলো - কেনো এত দেরী হলো ফিরতে
কৈফিয়ত দেই সর্বদা
আচল থেকে উজার করে
ঢেলে দিলাম হাজার বছরের
অভিমান
পাথর সরিয়ে দেখলাম
কান্নারা উন্মুখ হয়ে নামতে চাইছে
কপোল বেয়ে
অঝোর ধারে
ওরা আটকে ছিল
প্রাণবন্ত সেই হাসির নীচে
পাথর সরিয়ে দেখলাম
সবাই তৈরি ফিরে যাবার

উধাও হয়েছে সময়

এরপর সেখানে
রোদ এসে অপেক্ষা করেছে
পাটাতনে
শালিখের ঠোটে
অস্পষ্ট আওয়াজ
এরপর সেখানে
বৃষ্টি নেমেছে ধুয়ে গেছে শব্দ
এরপর সেখানে
সন্ধ্যা নেমেছে গাঢ় ঘুম চোখে
সে খুঁজেছে অহর্নিশি
সুখের নীড়
এরপর সেখানে
আধার ডুবেছে কালো মেঘে
উধাও হয়েছে সময়
অসম্পূর্ণ

রেশ

তুমি জানতে নিশ্চয়
প্রজাপতিরা প্রথম জীবনে
কুতসিত থাকে
গোলাকার মথ
আটকে রাখে লালা দিয়ে
সংক্ষিপ্ত জীবন নিয়ে দুরু দুরু উড়ে
ফুঁ দিলে ডানা ভেংগে যায়
তুমি জানতে
আঘাত করতে
সুবিধা এমন একটি
প্রজাপতি খুঁজো তুমি
ভাংগা ডানা, মৃত প্রজাপতি
তৃপ্ত করে চোখ
শান্ত করে দাবানল জ্বলে অহরহ
বুকের ভেতর
এক মুঠো মিথ্যা
এক সাগর অশ্রু
এক যুগ দু:খ টেনে নেয়
চোরাবালু
তুমি জানতে সেই ফাদে পা রেখে
কারা মরেছে
সেইসব মুখ চেনা জানা
প্রজাপতি র ভাংগা ডানা
দিয়ে ঢাকা

হতে পারে

হতে পারে খুব প্রখর হবে রোদ্দুর
আগামীকাল
ঝলসে দেবে চোখের পাতা
হতে পারে তুষাতপাত হবে ঘাম মুছে দেবে
আগামীকাল
এত অনিশ্চিত যখন যময়
এত অজানা যখন আগামীকাল
তখন কেনো এত দর কষাকষি করো?
তুমি তুমি তুমি তুমি ছাড়া
অনেকেই আছে,বাচে, মরে, হারে, জিতে
জীবন ঘষে ছাল তুলে ফ্যালে
কপালের
হতে পারে তুমি আর তুই বিচ্ছেদের গান গাইবে
আগামীকাল
এক নতুন ভোরে নতুন বাজারে
নিরীহ কারু বুকে পা রেখে
জবাই করবে নির্দ্বিধায়
দর কষাকষি করে চুষে নেবে রক্ত
আগামীকাল
তারপর পাচ দশ মিথ্যা দিয়ে লাশ
ঢেকে রেখে হেটে চলে যাবে
আগামীকাল
হতে পারে প্রখর রোদ্দুরে জ্বলে যাবে
চোখের পাতা
জলপাই রংগের কপোলে
হেটে যাবে সারিবদ্ধ পোকারা
আগামীকাল
হতে পারে একদল কসাই
ধারালো চাকুর মুখে রক্ত দিয়ে
লিখে ফেলবে প্রেমের কবিতা
আগামীকাল