Tuesday, September 18, 2012

শেকল শক্তি

স্বাধীনতার চেয়ে শেকলে শক্তি বেশী
যখন স্বাধীন থাকি
তখন ব্যস্ত থাকি অন্যকে শেকলে বাঁধতে
শেকলে অনুগত করে
যখন স্বাধীন থাকি ক্রুদ্ধ হই নিজের জন্য অনুগত হতে
শেকলে নিরুপায় করে
যখন উপায় থাকে অন্যকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতে ব্যস্ত থাকি
অথচ কথা ছিল
শেকল থেকে দূরে থাকবো
শেকল থেকে দূরে রাখবো
.নিজেকে ও অন্যকে
কারাগারের চার দেওয়ালের ভেতরে ছিল, আছে এবং থাকবে
আমার অবস্থান আজীবন
আমি বুঝিনি
মনকে মুক্ত করতে হবে সব চাইতে আগে
তারপর শরীরকে

Sunday, September 16, 2012

ভাল আছি

আমরা সবাই ভাল আছি
দুঃখ ঢেকে রাখি
তরল স্বচ্ছ চোখের জলের নীচে
আমরা হেসে হেসে মিথ্যা বলি
ভাল থাকা জিতে যাওয়া
ছিদ্র দিয়ে মরুভুমি দেখা গেলে
হেরে গেলে
পায়ের রগ ছিড়ে যায়
চামড়ার ভেতরে
টেনে হেচড়ে চলছে জীবন

অপেক্ষা

আবার বৃষ্টি হলে হাঁটুজলে ডুবে যাবো
আবার মেঘ হলে বুক ভাসিয়ে বসে রইবো
আবার ভাটা এলে চাতকীর মতো জল চাইবো
আবার সন্ধ্যা এলে বিষন্ন বদনে অপেক্ষা করবো
একাকী মৃত্যুর

নিরুপায়

কোন কথা পেটে রাখা দায়
ভাবছি ওদের আর মাটির নীচে নেবোনা
ওখানে লেখার কাগজ নেই
বাঁশঝাড় সব কেটে কুটে একসার
রেখে যাবো পাখীদের ঠোটে
ওদের জীবন সংক্ষিপ্ত
তোমাকে বলে যাবো
যদি না বুঝে মিলিয়ে ফ্যালো ঘোলা জলে
সেখানে ঘুর্নিপাকে অন্য কথা হয়ে যাবে
যার সবকিছুই অজানা
সুন্দর মলাটের নীচে
দুর্বোধ্য পান্ডুলিপির মত

ফাঁকি

এক ছায়া অনুসরন করি রাতদিন
না জেনেই সত্য মিথ্যা
ছায়ার পেছনে
এক বিশ্বাস গেঁথে রাখি মনের গভীরে
স্বাদ না পেয়েই
সুধা বা বিষের
লেগে থাকে অঙ্গে অঙ্গে অংশীদার
বিচ্ছিন্ন থেকেও চিরকাল
সাথে তো যায়না কোন কিছুই
তবু এ্যাত ভয় কেনো হারাবার ?

Thursday, September 13, 2012

অপরিবর্তিত

এই তো আজই এলাম
শানবাঁধানো দীঘির জলে মুখ দেখে
চুলে কাঁকুই দিলাম
এই তো ঢেউ খেলানো চুলে ছায়া
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছুঁয়ে গেলো
সেই প্রান্তে
যে আমার মুখ দেখেছিলো জলে
এই তো সেখানে এক পানকৌড়ি ভাসছে
বিষন্ন একাকী
আজ ভেঙ্গে গেছে দীঘির পাঁড়
আজ জমেছে শতাব্দীর জঞ্জাল
দীর্ঘদিনের অবহেলার ফসল
আজ দীঘিতে কলস ভাসে একাকী
গলায় ফাঁসানো দড়ি গলে গেছে পচে গেছে
মিশে গেছে দীঘির জলে
শুধু ঢেউ খেলানো চুলের ছায়া ভেসে যায়
ঢেউয়ে ঢেউয়ে

অকেজো

বেশ তো কেটে যাচ্ছে
মধ্যবিত্তের ঘষামাজা
পাছে লোকে কিছু বলে
ফিন ফিনে পাঞ্জাবীতে আধো আলো
স্বল্পভাষী মার্কসবাদী
ধরি মাছ না ছুঁয়ে পানি
এই তো কেটে গেলো জাবর কেটে
পঞ্চাশের চৌকাঠে পা রেখে ঠিক মাঝখানে
না পারি নীচে না পারি উপরে
যেতে গেলে আটকে থাকে

বোতামে লাল ফিতে
এইখানে আটকে থাকি
দুর্বোধ্য যুক্তি তর্কের গলিঘুজিতে
আষ্টেপিষ্টে চোখ রেখে কড়িবর্গাতে
মধ্যবিত্তের স্বল্পভাষী রেলগাড়ী চড়ে
ঊচ্ছিষ্ট নামে নীচে
হাড্ডিসার ধুঁক পুক কলিজাতে
মার্কসবাদ আটকে থাকে
ঠিক মাঝখানে

গেড়ো


এক বাক্স স্বপ্ন
এক নিমেষে উধাও হবে
কি আশ্চর্য !!
সেই চোখ খুলতেই কাঁচা রোদ মাখা সকাল
এখন দূষিত
স্বপ্ন এখন সুপার মার্কেটের খাটালে অপেক্ষারত
রঙ্গ মেখে সঙ সেজে
কৃত্রিম হাসিতেই জগত গেছে ভুলে
সংকোচে বিহ্বল
কেন নেই আগের মত

কোন অপেক্ষা
হাসি
এই বিনিময় প্রথার শুরু হয়েছে সেই কবে
অনাদিকাল থেকে
কেনো বুঝিনি আমি ?
অকৃত্রিম হাসি আর ভালবাসা কেনো তবু
ঝুলে থাকে অকেজো সিকির মত ?
এ কেমন গেড়ো ?
এলোমেলো !!

ভয়


Friday, September 7, 2012

আড়াল

সোজা কথাকে জটিল করে বলি
এই তো কালক্ষেপন করি
আমি যা করতে চাই
তা জানাতে চাইনা
শুধু যা করিনা তাই বলি
শুনতে এক বুঝতে আরেক
আর করতে গেলেই বিপাক
এমনিতে সোজা পথে বেশী ভীর
আমি নতুন পথ বানিয়ে নিই
একাকী হাটবো তাই
এমনিতে এই পৃথিবী জনাকীর্ণ
ভীরের নীচে হারিয়ে যাওয়া কঠিন
সবার চোখ থাকে সবার চোখে
একাকী হারিয়ে যাওয়া সহজ
মনের সুন্দর গ্রহ নক্ষত্রের সাথে
বসবাস সহজ
বুঝতে দিতে চাইনা মনের গহিনে
কে কে আছে
সঙ্গি সাথী স্বপ্ন সম্ভার

পাশবিকতাতে আনন্দ

নিজেকে পরখ করি বারে বারে
কত রুপ রঙে ঢঙ্গে সাজিয়ে
নিজেকে খুলে ধরি বারে বারে
কত কথা কত গান বাজিয়ে
তবু কেউ জানেনি আমি কে
এই না জানা এক সত্য
আমরা জানাতে চাই শুধু
আমরা জানতে চাইনা কিছু
সেজন্যেই এ্যাত দ্বন্দ এ্যাত বিবাদ বিসংবাদ
আমরা বিবাদ ভালবাসি
সংঘাতে অনুভব করি
আদিম আনন্দ

শব্দ গুলো বুকের ভেতরে

কতকাল হলো পরিচিত উঠনে পা রাখিনি
আমার শৈশবের নদীনালার উপরে দালানকোঠা
হারিয়ে যাবার সখের বশে
হারিয়ে ফেলেছি কৈশরের বর্ষাতে হাটুজলে তেতোপুটি
এখনো অভিমান করি
চলে যাবো সব ছেড়ে এই বলে
যখন সবাই চলে গেছে আমারেই ছেড়ে
যৌবনও চলে গেছে
শত কোটি বছর অপেক্ষায় রেখে
শর্তহীন প্রেমিকের


আয়শা মেহের
হাতের সব রেখা স্পষ্ট পড়েছি
কোথাও কোন ভুল নেই
বদলেছে মোড়ক শুধু
নীচে সেই পুরাতন কর্দমাক্ত কঙ্কাল রেখেছে ঢেকে
পেচকের চোখকে ধোঁকা দেবে বলে