Sunday, December 9, 2012

কাপুরুষ

কারুকে দেখিনি মাথা তুলে দাঁড়াতে
সবগুলো মাথা
হয় নত নয় মৃত
কেউ সাহস করেনি মাথা উঁচু করার
যারা করেছিল তারা মৃত
বেয়োনেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত
যারা নত করেছিল
তারা কাজ করে প্রহরীর
ক্ষত বিক্ষত করে দেয়
কেউ মাথা তুলে দাড়ালেই
...
তাই নত করে রাখে মাথা
সবার উপরে থাকেন ইশ্বর
ঘাড়ের উপরে ফ্যালেন দীর্ঘশ্বাস
মগজের ভেতর
সেঁধিয়ে রেখেছেন বিষাক্ত বাতাস
ভয়গুলোকে মোড়কে করে
ঠেসে ধরেছেন অস্থিমজ্জ্বাতে
কেউ মাথা উঁচু করে না আর
সবার মাথা
হয় নত নয় মৃত

ভাবছিনা আর কিছু

ভাবছিনা আর কিছু
মগজের এখন বিশ্রামের সময়
দেখছিনা আর কিছু
চোখের এখন ঘুমের সময়
শুনতে পাইনি অনেক কিছুই
এখন উল্লাসের সময়
আক্রোশ আর চিৎকারের
ক্রোধ, ইর্ষা আর কটু বাক্যেরা
স্বাধীনতা ঘোষনা করেছে
রাজ্যপাল হীনমন্যতা
শুনাতে পছন্দ
শুনতে অপছন্দ

অহেতুক

রোদ আর বৃষ্টির মত
জীবন এই আসে এই যায়
এই তো সেদিন হামাগুড়ি দিয়ে
দাঁড়াতে না দাড়াতেই
চলে যাবার সময় হলো

অন্য কোন গ্রহে
অন্য কিছু করতে শুরু
পুনরায়
অহেতুক

ফিরে আসে বারে বারে

সময় ছিলনা ফিরে দেখার
আকাশ মেঘলা ছিল
দরকার ছিলনা ভেবে দেখার
ভুলগুলো
সাজানো থাকে মেঘের আড়ালে
নিয়ম করে এক ফাঁকে ঝরে যায়
নিয়ম মত স্তরে স্তরে
আবার ফিরে যায়
মেঘের আড়ালে

চক্র

ভুলগুলো এখন সীমার বাইরে
নষ্টরা অষ্টপ্রহর কৌতুক করে
গাট্টা মারে মাথার ভেতর
ভুল করে হয়ে যায় নেশার মতন
ভুলগুলো ছায়ার মত অনুসরন করে
কায়াহীন মায়া
যদি এমন হতো তাহলে কেমন হতো
সত্যরা সবাই হাসে
চড়াই উৎরাই
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে
জ্বলে যায়, উড়ে যায়, ধুয়ে যায়
স্বপ্নের চূড়া

অন্য অন্ধ

চোখে না দেখলেই কি শুধু অন্ধ হয়?
নিজের দোষগুলোকে
নানাবিধ অজুহাতের মোড়কে ঢেকে
গুনাগুনে পরিবর্তিত নষ্ট প্রচেষ্টাও অন্ধত্ব
সবাই অসম্পূর্ন
সবাই চলে যায়
বাকী রেখে কাজকাম
জীবনের শুরু থেকে শেষ
অহংকারের অন্ধকারে
কেটে যায় বেশ
অজুহাত শুধু অজুহাত
অতীত আছে শুধু
বর্তমানে পা রাখা দুই নৌকাতে
ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
অন্ধ মন হাতড়ে ফেরে
কোনটা শুধু আমার
আমি আর আমার কারবার
অন্ধকারে এগুতে থাকি
আমি আর আমাকে নিয়ে