Saturday, June 30, 2012

দৃশ্য

এলোমেলো বাতাসে
জানালার পর্দা সরে গেলে
দেখা যায় ঘরের আসবাব
রক্তের চাপ হ্রাসবৃদ্ধি পরিমাপের যন্ত্র
শৈশব, কৈশর, তারুন্যে কৃত অপরাধের
বৃদ্ধ খতিয়ান লুটোপুটি খায় মেঝেতে
ধূলিধূসরিত জাজিমের নীচে
জমাট বাধা রক্ত তোষকের কোনে
একপাশে কোলবালিশে শুখিয়ে থাকা অভিমান
ক্লেদাক্ত পাঞ্জাবীর আস্তিনে ক্রোধ
উড়ুতে কালশিটে
প্রতারণার ঢাকনি উদম
খোলা মুখ থেকে লালা
কাম ক্রোধ পরিতৃপ্ত নাশিকাধবনি
এলোমেলো বাতাসে এইসব ভাসে

Friday, June 29, 2012

অবশিষ্ট



সময় মাঝে মাঝে বৈরী হয়
বদল করেনা কিছুই
থাকার উপায় নেই
তাই চলে যায়
ভাটির টানে জল শুখালে
পেছনে রেখে যায় কঙ্কাল
ব্যর্থতা, অকেজো স্মৃতি
আর চিনচিনে ব্যাথা
শিরাউপশিরা ছিড়ে রেখে যায়
ভাঙা আরশীতে জীর্ণ
মুখ, ক্লান্ত চুল, অবশ হাত
পরম যত্নে লালিত
স্বপ্ন সাথ ছেড়ে চলে যায়
আগন্তকের হাত ধরে

Wednesday, June 27, 2012


পূর্ব বাংলার মানুষের মতই রোহিঙ্গা মুসলমানেরা জ্বলছে জনম জনম ধরে।
পলাশীর প্রান্তরের কথা মনে পড়ে গেলো ।
এইভাবেই কিছু বেইমানের জন্য প্রান দিতে হয় বহু নিরীহ মানুষের
১৯৪৭ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলোনা
সেই সময়ের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিলো উপমহাদেশের মহান মীরজাফরদের সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
১৯৪৭ সালে যেসব মুসলমানরা রক্তে ভেসে ভারত থেকে পাকিস্তানে আসে
১৯৭১ সালে মুসলমান সৈন্যদের তাড়া খেয়ে সেইসব মুসলমানরাই আবার ভারতে যেয়ে আশ্রয় নেয়
রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ঠিক সেভাবেই তাড়া খেয়ে ফিরছে এই দেশ থেকে সেই দেশে
রোহিঙ্গা গনহত্যা ব্যাপক আকার ধারন করে ১৯৪২ সালে
বৃটিশ আদমশুমাড়ি অনুসারে ১৯১১ সালে বার্মাতে মুসলমানের সংখ্যা ছিলো ১৭৮,৬৪৭।  ১৫শত ও ১৮ শত খ্রিষ্টাব্দে ব্যপকহারে বৌদ্ধরা মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে। 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আনুমানিক ৫০০,০০০ ভারত থেকে পালিয়ে যেয়ে বার্মাতে আশ্রয় নেয়।

১৯৪২ সালে বার্মা ইনডিপেন্ডেস আর্মীর নেতৃত্ব এক মুসলমান নিধন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় সেই সময় ১০০,০০০ নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হয় ।

সেই বছরেই ৮০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে যেয়ে আশ্রয় নেয় ।
সেই বছরে ২৯৪টি মুসলিম গ্রাম ধ্বংস করা হয়। অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন, ধর্ষন আর হত্যার মধ্যে দিয়ে এই ইনডিপেন্ডন্ট লিবারেশন আর্মী তাদের মুসলিম নিধন কর্মসূচী চালিয়ে যায়।

১৯৬৪ সালে রেভলুশন কাউন্সিল রহিঙ্গাদের সব ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সংগঠনগুলোকে বাতিল ঘোষনা করে
এইসময় রেডিওতে রোহিঙ্গা ভাষায় অনুষ্টান প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।  ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত মোট ২০টি ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয় রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে বার্মা থেকে সম্পুর্ন ভাবে নিশ্চিহ্ন করা দেবার জন্য।

বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান বসবাস করে আর সেই কারনেই রোহিঙ্গা মুসলমানেরা বার বার বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। ১৯৯২ সালে ২২৯,৮৭৭ রহিঙ্গা মুসলমানকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়। এখন ২০১২ সাল। বার্মাতে রোহিঙ্গা গনহত্যা চলছে। সারা বিশ্ব চুপচাপ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে
সারা বিশ্বের মতই বাংলাদেশও এখন রোহিঙ্গা মুসলমান গনহত্যার নীরব দর্শক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। বাঁচার শেষ আকুতি নিয়ে রহিঙ্গা মুসলিম আবালবৃদ্ধবনিতা অপেক্ষা করছে কবে বাংলাদেশের মুসলিম ভাইবোনের হাত প্রসারিত করে দেবে বলে । 

বিবিধ

সব কথা বলা যায়
যদিও সব কথা সবাই বোঝেনা
সব কিছু দেখা যায়
শুধু মন কেউ দ্যাখেনা
মনের কথা চোখে লেখা থাকে
চোখের ভাষা সবাই পড়তে জানেনা
অনেকেই পড়তে চায়না
প্রয়োজনীয় নয় তাই
লাভক্ষতির অংক শুধু যে ব্যবসায়ীরাই করে সেটা ঠিক নয়
যারা বাণিজ্য সম্পর্কে অজ্ঞ
তারাসহ যারা জ্ঞাত তারা সবাই
লাভক্ষতির অংক কষে ক্রমাগত
নিজের অজান্তে
নিজেকে ভালবেসে

Wednesday, June 20, 2012

রোহিঙ্গা মুসলিম গনহত্যা ১৯৪২-২০১২

আল্লাহকে বিশ্বাস করে দেখেছি
রক্তে ভিজে দেহ জমে গেলে
শরির টেনে উঠাতে পারিনি
পাথরের মাঝখানে আটকে ছিলো
সমস্ত পৃথিবী
আল্লাহকে খুঁজেছি
জন্মের শোধ দিয়েছি
টিকে থাকার টিকেটের অগ্নিমূল্য
দুহাত পেতেছি
ভিক্ষার – আল্লাহ বা পুঁজিপতি বা তাঁদের পদলেহনকারী ভৃত্যেরা
নৌকাতে, ক্যাম্পের ভ্যাপসা কোনে বা খোলা আকাশের নীচে
বা বেশ্যাপল্লীতে – তবু বেঁচে থাকতে চাই
দুহাত পেতেছি
ভিক্ষার
 

রোহিঙ্গা মুসলিম গনহত্যা ১৯৪২-২০১২


এ কেমন সৃষ্টিছাড়া নিয়ম
শুধু মৃত্যুর নাম লেখে প্রতিটি জীবনে
শুরু হবার আগেই
মাথায় কাফন বেঁধে শিশুরা সব জন্ম নেয়
এক তিমিরে
... সেখানে কেউ জন্মতিথি উৎযাপন করেনা
শুধু লাশ দাফনের আয়োজনে ব্যস্ত থাকে
শিশুরা কৈশর দ্যাখেনা
কিশোরেরা তারুন্য স্পর্শ করেনা
তরুনেরা কবরে শুয়ে বৃদ্ধ হয়
ঘরগুলো সব গোড়ের উপরে
মানুষ, পশু আর খাদ্য
সব সিদ্ধ হয় একসাথে
তবু কেনো
জীবনের স্পন্দন থাকে
ধ্বংসস্তূপের চূড়ায়??

মৃত্যু ফাদের অন্ধকারে
এ কেমন বাঁচার আকুতি ??

Tuesday, June 12, 2012

আজকাল বৃষ্টিতে এসিড মিশ্রিত থাকে
আর সমুদ্রের পানিতে ডিজেল
আমি কাকে বিশ্বাস করবো?
মাটি খুঁড়লে বিশুদ্ধ পানির বদলে
বের হয় লাভা
কত শত বছরের লুকিয়ে রাখা
আগ্নেয়গিরি থেকে
অনেক কস্ট চেপে রেখেছিলো
মাটির নীচে
আমি কাকে বিশ্বাস করবো?
কত শত বছর ধরে
প্রভুদের দাসত্ব করছি আমরা
আপনকে হত্যা করে
লুকিয়ে রেখে তাঁদের লাশ
মাটির নীচে
প্রতিদিন
দাফন করি অনাগত ভবিষ্যত
তারপর ছুটি খুনীকে ভাগ্য জেনে
দুর্ভাগ্যের পেছনে
চামড়ার কারুকার্য দেখে
মুগ্ধ হয়ে ভুলে যায়
প্রতারক সূর্যের আলো
ধাধিয়ে দেয় চোখ
আমি কাকে বিশ্বাস করবো?
আস্তিনে শুখিয়ে গেছে
মৃত্ শিশুর রক্ত
যুগ যগ ধরে প্রিয়জনের লাশের উপরে
দাঁড়িয়ে আগুন্তকের দাসত্ব করি
মুগ্ধ বিমোহিত

Saturday, June 9, 2012

নারী বিষয়ক নীতিমালা

সচারচর

প্রভুদের কিছু ভৃত্য থাকবে
দালালদের কিছু পদলেহনকারী থাকবে
তাদেরও কিছু পৃষ্টপোষক থাকবে
এই থাকাথাকি নিয়ে
কিছু মানুষের থাকাথাকিতে বিরম্বনার সৃষ্টি করবে
এইভাবে গড্ডলিকা প্রবাহে
কেটে যাবে
নেয়েখেয়ে বাসন মেজে ঘষে খসে দিন
১৭০০ সালের সাথে ২০১২ সালের পার্থক্য
খুঁজে হয়রান
শোষক আর শোষনের কোন পার্থক্য নাই
তবে এইসব করার মাধ্যমগুলোতে কিঞ্জিত পার্থক্য দেখা দিয়েছে
রিমোট কন্ট্রোল্ড অপারেটেড প্লেন এখন বোমা ফ্যালে দেশে দেশে
হাইস্কুল ড্রপআউটরা এখন দেশপ্রেমিক সৈন্য হয়ে
দেশে দেশে ধর্ষন করে জাতীয় খেতাব পায়
খুনাখুনি যত বেশী নোবেল শান্তি পদক প্রাপ্তির সুযোগ তত বেশী
বদলে যেতে আর বদলে দিতে
খুনাখুনি আর খুনিদের পদলেহন
মার্কস এর রচনা অনুবাদ করে কি দেশপ্রেমিক হওয়া যায় ?
মার্কস তো বিশ্বের মজদুরের কথা লিখেছে
তুমি কার কথা লেখো ?
মাও চীনের ভবিষতের কথা ভেবে গেরিলা যুদ্ধ করেছিলো
তুমি কার কথা ভাবো ?

যখন তখন

আবেশ

নিখোঁজ সংবাদ

শনির দশা

বানিজ্য

বিপাক

পুনরাবৃত্তি

বাংলাদেশের সীমান্তে গনহত্যা বন্ধ করো

মৃত্যু

বিনিময়

পবিত্র মূর্খ

অদৃশ্য

লালসা

পরিকল্পনা


ইচ্ছা

একবার এক আকাশ দেখে বলেছিলে
তোমার মনের যদি ছবি আঁকতে পারতাম
তাহলে সেটা এই রকম দেখতে হতো
একবার এক টলটলে জল দেখে
তুমি বলেছিলে
তোমার চোখের যদি ছবি আকতে পারতাম
তাহলে এই রকম হতো
এই রকম কি রকম
জবার মতো লাল ঠোটে
সবুজ ঘাসের মতো হৃদয় নিয়ে
একবার তুমি বলেছিলে
এইসব কিছুই তোমার প্রতিবিম্ব
একবার বৃষ্টিতে ভিজে গেলে
মাটি থেকে আসা সোঁদা গন্ধে
মুখ ডুবিয়ে বলেছিলো
তোমার শরীরে বনফুলের গন্ধ
একবার ভালবেসে হাত ধরে
বলেছিলো
এই হাত ছেড়ে দিওনা
আমি মরে যাবো তাহলে

উপেক্ষা

তোমার দরজার বাইরে
দাঁড়িয়ে ছিলাম অহর্নিশি
অনুভব করোনি
ঝরে যাওয়া হলুদ পাতার উপর দিয়ে
হেঁটে চলে গেছো
ভ্রুক্ষেপ না করেই
অভিনয় তো করিনি
সহজভাবে বলেছি
সারাদিন খুঁজেছি
সারাটা আকাশে
কোন ছায়া দেখে
দৌড়ে গিয়েছি
ভেবেছি
এই বুঝি সময় হয়েছে
নক্ষত্র চেনার

চুপচাপ কবিতা পাঠ

আমার মুখোশ

বিকলাঙ্গ স্বাধীনতা

অবশ

সহজ

দ্বীপান্তর

প্রস্থান

অস্থি

কঙ্কাল

উইপোকা

জীবনে প্রথম পুরুষে ছুঁয়ে দিলো
তো আমি হয়ে গেলাম অস্পৃশ্য
বাকী পুরুষরা বললো
তোমাকে ভোগ করতে পারি
তবে ভালবাসবোনা
এক পুরুষে অনেক নারীকে ছুঁয়ে পবিত্র হলো
বাজারে অভিজ্ঞতার আদর হলো
এইভাবে চাহিদা ও যোগান রেখাতে
...ভেসে মনোবল থেরাপী করে নিলাম
লাভক্ষতির অংক কষে কষে
ক্ষতিগুলোকে কপালের ঘাটতিতে রেখে দিলাম
গত বছরগুলোর দুর্ভোগ
কেটেছে নর্দমার পানিতে ভেসে
ঝর্ণাতে এসে সেই পানি পবিত্র হয়েছে
বোতলে উঠে সেই পানি হয়েছে আবে জমজম
মাঝে মাঝে ক্ষুধা দেহমন ছেড়ে চোখে যেয়ে বসে
তখন হীনমন্যতার এক নতুন সিকিউরিটি বন্ড
বেচাকেনা শুরু হয় বাজারে
দিনরাত নর্দমাতে সাঁতরেও
পুরুষেরা হাঁসের পালকের মতো পবিত্র